নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহীর বায়া সরকারি শিশু পরিবার মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োাজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেণ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন। বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক(যুগ্মসচিব) সৈয়দ মোস্তাক হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম(বার), পিএইচডি, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আক্তার। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন রাজশাহী বিভাঘীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক তাপস ফলিয়া। এছাড়াও সমাজসেবা কার্যালয় রাজশাহীসহ বিভাগের প্রতিটি জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশুরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার ড. হামিদুল ইসলাম।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও ফেস্টুন এবং পায়রা উড়িয়ে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এরপর তাঁরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে সম্মিলিত প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে বিভিন্ন ইভেন্ট এর খেলা শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এই প্রতিযোগিতার পর্দা নামবে। উল্লেখ্য রাজশাহী বিভাগের আটটি শিশু পরিবার সহ মোট ১০ টি প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, এই প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহন করেছে তারা অনেক ভাল। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের থেকে এই শিশুরা ভাল করছে। তারা খেলাধুলা থকে শুরু নাচ ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে অনেক পারদর্শী বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। তারা আরো বলেন, এগুলোর পাশাপাশি ভাল করে পড়ালেখা করার পরামর্শ দেন তাঁরা। তারা আরো বলেন, পরিবর্তিত সময়ে সরকার এই শিশুদের নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছেন। মেধাবী শিশুদের কিভাবে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করা যায় এবং চাকরী ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে ভাবছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরো বলেন, বিয়ে কোনভাবেই পুরর্বাসন নয়। নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তাঁরা। সেইসাথে যারা এই শিশুদের পাশে থেকে সেবা করছেন এবং বাবা-মায়ের আদর দিয়ে বড় করছেন তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অতিথিবৃন্দ।