নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। দেশে এবং বিদেশে এর ব্যপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বতর্মান প্রধান উপদেষ্টা অনেক সজ্জন ও আন্তর্জাতিক মানের মানুষ। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয় বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। তিনি সংস্কারের নামে তালবাহানা করছেন। কোন প্রতিষ্ঠানে বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন জায়গাগুলো এখনো কোন প্রকার কাজ করতে পারেননি।
কিন্তু দেখতে দেখতে দিন অনেক পেড়িয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে নগরীর বিসিক এলাকায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পতিত আওয়ামীলীগ সরকার ও তার প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী ও একনায়কতন্ত্র দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শুধু তাইনয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলো। এছাড়াও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। টাকা পাচার করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। এছাড়াও খুন, গুম করেছে শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে।
তিনি আরো বলেন, এক-দুইজন সমন্বয়ক নিজেকে অনেক বড় মনে করছেন। তারা কাউক পরোয়া করছেন না। তিারা বিএনপি’র মহাসচিবকে নিয়ে কথা বলছেন। তারা আসলে কোন দলের সবাই জানে। এক সময় ছাত্রলীগের হয়ে ঢাকা ভার্সিটিতে যত কুকর্ম ও অন্যায় করেছে। খুনি হাসিনার সাথে যার অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোভা পাচ্ছে। কিন্তু ৫আগস্টের পরে তিনি হয়ে গেছেন রাবন। এভাবে চলতে দেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন আরো বলেন, সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। এটা সারাজীবন চলতে থাকবে। এই সংস্কারের দোহাই উত্থাপন করে একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু ঐ দলের অনেক নেতা পতিত সরকারের সাথে যোগসাজসে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। এর উদাহরণ এই পবা উপজেলাতে এখনো আছে। তিনি এখনো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাঁকে আবার একটি দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রকৃত পক্ষে ঐটা হচ্ছে স্বার্থান্বেষী একটি দল। যেখানে সুযোগ পাবে সেখানে তারা দাঁড়িয়ে যাবে। ঐ সকল দলের লোকজন হতে দূরে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
মিলন বলেন, বাংলাদেশের সংস্কার করার জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে একত্রিশ দফা দিয়েছেন এর মধ্যে সকল প্রকার উপাদান রয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন করলে আর কোন প্রকার সংস্কার করার প্রয়োজন নেই। এজন্য সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন না পিছিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান তিনি।
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য শাহজাহান আলী চেয়ারম্যান এর সভপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ¦ মজিবুর রহমান, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান আহমদ ও হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব বাদশা মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজাউল করিম, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক এনামুল হক কনক, হুজরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শিহাব উদ্দিন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নাজিম উদ্দিন, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হাসিবুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন বড়গাছী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পবা উপজেলার বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, আবুল কাশেম, আসাদুজ্জামান বাবু,রাজু আহমেদ, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন আক্তারুজ্জামান, পবা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, ছাত্রদল পবা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমানসহ পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলো।