নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা ছিলেন লুটেরা ও দস্যু দলের সর্দারনী। যখন যা ইচ্ছে করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচার সরকার থাকে। তারা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেনা। তারা দেশকে ভালবাসে। আর খুনি হাসিনা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। শুধু তিনিই নন তাঁর বোন, ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নে-ভাগ্নী ও আত্মাীয় স্বজন সহ বাড়ির চাকর ও পিয়ন পর্যন্ত লুট করতে ছাড়েনি। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে বেগম পাড়া তৈরী করেছে। ব্যাংক শূন্য করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শেষ করে দিয়েছে বলেন শুক্রবার সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের সাথে সাক্ষাৎ ও দোয়ার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাসিনা শুধু টাকাই লুট করেনি, নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্তায়ী করতে দেশের মানুষের উপরে চালিয়েছে অমানবিক নির্যাতন। করেছে খুন, গুম। দিয়েছে মিথ্যা গায়েবী মামলা। এছাড়াও তৈরী করেছিলো আয়না ঘর। পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার দোসরা দেশকে পঙ্গু কওে দিয়েছে। তাদের এই নির্যাতন থেকে বাঁচতে এবং দেশবাষীকে বাঁচাতে বিএনপি দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন করে আসছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে সেই আন্দোলন ছাত্র-জনতা একসাথে মাঠে নেমে আরো বেগমান করে। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে রক্তাক্ত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত শুধু খুনি হাসিনা নয় তার অনেক দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রী, খুনি ও স্বৈরাচারদে আশ্রয় দিয়ে একটি বাগানবাড়িতে পরিণত করেছে বলে উলোøখ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেই যাই বলুক না কেন নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যথাসময়ে নির্বাচন সম্ভব। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা তত্বাবধায়ক সরকার মনে করি, আমরা মনে করি। এই সরকারই জাতীয় নির্বাচন দেবেন। জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোন নির্বাচন নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি এই নেতা। ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার সাথে আলোচনা করছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেন? ভারতের সব অপকর্ম শেখ হাসিনা মেনে নিতেন। বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমন্ত ভারত-বাংলাদেশ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশীদের পাখির মতো গুলি করে মারলেও হাসিনা সরকার নিরব থাকতো। পররাষ্ট্রনীতি মাথা নত করে চলতো। অভারত মনে করত হাসিনা তাদের একজন বিশ্বস্ত, অনুগত।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলাইয়ে মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব। এটি নিয়ে গড়িমসি করলে অন্তর্বীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে। এটা বিএনপি চাননা। কারণ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস একজন সজ্জনন এবং আন্তর্জাতিক মানের মানুষ। কিন্তু তাঁর কিছু কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করার চেষ্টা করছেন। নানা ধরনের মন্তব্য ও কথা বলছেন। এটা ঠিক না। বিএনপি ড. ইউনুসকে বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস থেকেই আসা করেন তিনি একটি নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবেন বলে আশাব্যাক্ত করেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বক্তব্যেও পূর্বেই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক প্রেরনকৃত ঈদ উপহার ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের সাথে সাক্ষাৎ করে তুলে দেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক, সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, আমরা পরিবারের উপদেষ্টা ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম ও উপদেষ্টা আবুল কাশেম জাথয়ি প্রেষ ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রনি। স্বাগত বক্তব্য আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা সভাপতিত্বে এবয় সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদীন শিবলী ও বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য জাহান পান্না, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএপি’র সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল সরকার, পবা উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আলী হোসেন, দস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হীরোক, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন।
এছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও জেলার সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ও মহানগর তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য আরিফুল শেখ বনি ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি সহ মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।