নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দুইটি ধারা অব্যাহত রয়েছে। একটি হচ্ছে পতিত সরকার। ঐ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ, যাদের প্রতি দেশের মানুষের কোন প্রকার আস্থা নাই। অন্য দিকে বিএনপি হচ্ছে জনগণেল আস্থার প্রতিক। এই দলকে মানুষ সারাজীবন ভালবেসে আসছে। কিন্তু বিএনপি ও দেশের অভ্যান্তরে বিশৃংখলা সৃষ্টির লক্ষে আবারও মাথা চাড়া দিচ্ছে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার দোসরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বৃহস্পতিবার বিকেলে দামকুড়া হাট উচ্চ বিদালয় মাঠে দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, খুনি হাসিনা ভারত থেকে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর এ দেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী প্রেতাত্তারা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। সেইসাথ বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরেকটি দল। তারা সংস্কার কার্যক্রমকে দীর্ঘায়িত করে নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। এছাড়ার নুতন দলতো মনে হচ্ছে তারাই দেশ স্বাধীন করেছে। তারা যা বলবে তাই হবে। যে দলের নিবন্ধন এখনো ঠিক হয়নি এবং যে দলের এখনো নিবন্ধন হলই না তারা দেশ পরিচালনার জন্য নানাবিধ ষঢ়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, এই দুই দলের এসকল যড়যন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেও হাসিনার ষড়যন্ত্র কেউ মেনে নেবেনা। কারন খুনি হাসিানা দুই হাজারের উপওে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে পঙ্গু ও আহত করেছে। তার বিচার ও দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে দেশের অভ্যান্তরের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানান তিনি।
মিলন আরো বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মূল নায়ক হচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঘষে মেজে পরিস্কার ও সংস্কার করার জন্যই এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কিন্তু এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়েছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন করে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তার মানে এই নয় যে সব কিছুতে সমর্থন করবে বিএনপি। কারো নিকট নতজানু না হয়ে সুন্দর একটি নির্বাচন দেয়া আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে কারো চক্ষু রাঙ্গানোকে ভয় করার কোন কারন নেই বলে উল্লেখ করেন।
দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক কনক এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য শাহজাহান আলী, সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মকবুল হোসেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম স্বপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, রাজপাড়া থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম মিঠু, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রমজান আলী, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেব জাদা, ও সোহেল রানা ও পবা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।