নিজস্ব প্রতিবেদক: পবার হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের মৃত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত এবং অসুস্থ্যদের সুস্থ্যতা কামনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, দেশে এখনো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিএনপি নির্বাচনের জন্য দাবী করলেও একটি রাজনৈতিক দলের আপত্তির কারনে নির্বাচন নিয়ে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার গড়িমশি করা শুরু করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ তা মেনে নেবেনা।
শুক্রবার বিকেলে হরিয়ান বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে হরিয়ান ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএপি চেয়ারর্পার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ জাতীয়বাদী দলের সকল অসুস্থ্য নেতাকর্মী এবং জুলাই-আগস্টে অসুস্থ ছাত্র-জনতার সুস্থ্যতা এবং বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ দীর্ঘ সতের বছরের আন্দোলন সংগ্রামে নিহত সকল নেতাকর্মী এবং জুলাই আগস্টে নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাহফিরাত কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি তাঁর বক্তব্যে এগুলো তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, গত সাতদিন পূর্বে আয়না ঘর নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দুই হাজারের বেশী বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আটকেত রেখে হত্যা করা হয়েছে। এতটা নির্মন সরকার এর আগে বাংলাদেশে আসেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পতিত সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা যেমন হাজার হাজার কোটি টাকা লোপটা করে বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনা এর বাহিরে ছিলোনা। তেমনি তাঁর আমলা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর একজন কনস্ট্রেবলসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ হাজার হাজার কোটি লোপাট করে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
মিলন বলেন, বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশর মানুষ একটি ভাষা সব থেকে বেশী শিখেছে তার হলো গায়েবী মামলা। এই মামলা দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী ছেড়ে দেয়া বা মামলার দারা নরমাল করার জন্য হাজার হাজার টাকা খেয়েচে। কিন্তু কোন কাজ করেনি। উপরোন্ত রিমান্ডের নামে অমানষিক নির্যাতন করেছে। মানুষের মৗলিক অধিকার ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ পনের বছর কেউ ভোট দিতে পারেনি। কারন দিনের ভোট আগের দনি রাতেই হয়ে গেছে। এছাড়াও আমি-ডামি নির্বাচন করে তারা আবার ক্ষমতায় থাকার জন্য এসেছিলো।
তিনি আরো বলেন, খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার কবল থেকে দেশ এবং দেশেল মানুষকে রক্ষা করতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহামন সুদুর লন্ডনে থেকেও দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তাঁর নির্দেশনার সকল বাধা উপেক্ষা করে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে। যার ফল হচ্ছে জুলাই- আগস্ট। এই জুলাই আগস্ট একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এটা নিয়ে একক ভাবনা ভাবলে তা হবে বোকার সর্গে বসবাস করার ন্যায়।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যানারের আন্দোলনে ভীত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। পালানোর আগে তাঁর সকল আত্মীয়স্বজনকে দেশের বাহিরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। এরপর তিনি পনের মিনিটের মধ্যে দেষশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন ষেকান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে গভীর ষড়যন্দত করছে। কিন্তু বাংলাদশের মানুষ তা আর নেবেনা। হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নির্ভাচন নিয়ে গড়িমশি না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশে শাসন ভার ছেড়ে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবী জানান তিনি। না মানলে আগামীতে আবারও বিএনপি দেশবাসীকে নিয়ে আবারও আন্দোলন শুরু করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ¦ মুজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব বাদশা মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মান্নাফ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সোহেল রানা, এডভোকটে রাসেল, পবা উপজেলা স্বেচ্চাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন ও পবা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।