নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন সহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবীতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে আবুল কালাম আজাদ সুইট ও আব্দুল কাদের বকুল নামে দুই ব্যক্তি। তাঁরা মঙ্গলবার দুপরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেখানে তার উল্লেখ করেন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন একজন দুর্নীতিগ্রন্থ কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে তার দুর্নীতির খবর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বারাবাহিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। তথাপিও তিনি বর্তমান পরিচালকের সাথে যোগসাজশে তার দুর্নীতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বর্তমান পরিচালক এই দুর্নীতিবাজ সহকারী পরিচালক (কলেজ) কে তদন্তের অভিযোগ থেকে রক্ষা করার জন্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ, রাজশাহী কলেজকে নানাভাবে প্রভাবিত করছেন।
তারা আরো উল্লেখ করেন সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন এর সাথে বর্তমান পরিচালক প্রফেসর মোহামদ আছাদুজ্জামান যোগ নিয়ে দুর্নীতির নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। যার ফলে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক শিক্ষা প্রশাসনিক কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। আর যে সকল কর্মকর্তা সৎভাবে তাদের কার্য পরিচালনা করতে চান, এই সিন্ডিকেট তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা রিপোর্ট করিয়ে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। সম্মতি রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়ে দুদকের রহস্যপূর্ণ অভিযান তার প্রমান।
আঞ্চলিক কার্যালয়ে উপপরিচালক (মাধ্যমিক) এর অফিসে প্রায় ১৯০০ ফাইল পেইন্ডিং থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে দুদক অভিযান চালাচ্ছে না। অথচ পরিচালকের কার্যালয়ে মাত্র ১৫১ ফাইল পেইন্ডিং থাকার কারণে মূলত অভিযান পরিচালনা করেন যা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই দূর্নীতিবাজ সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন এবং বর্তমান পরিচালক আছাদুজ্জামান এর সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে দুদককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভালো কর্মকর্তাদের হয়রানি করে রিপোর্ট প্রকাশ করে সরিয়ে দেয়ায় হীন চক্রান্তে লিপ্ত আছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
সেইসাথে সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন কে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে সচেতন নাগরিকগণ মানববন্ধন কর্মসূচীসহ বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহণ করবে উল্লেখ করেন তিনি।