নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ভোক্তা অধিকার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান।
ক্যাব রাজশাহীর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান এর সভাপতিত্বে এবং কনজিউমার এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহীর উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, ক্যাব পবা উপজেলার সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম ও দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাব সদস্যগণ। এছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ক্যাব রাজশাহীর বিভিন্ন পর্য়ায়ের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উল্লেখ করা হয়, রোমজান শেষে পবিত্র ঈদুলফিতর উপলক্ষে নগরীর পাড়ায় মহল্লায় অত্যন্ত নিম্নমানের লাচ্চা-সামাই তৈরী হচ্ছে। যে গুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতকির। এ সকল লাচ্চা-সামাই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা এবং ভোক্তাদের না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। সভায় আরো উল্লেখ করা হয় বাজারে পোষাকের মূল্য অযাচিতভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেগুলো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে ছিলো, সেগুলো একলাফে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। এ সকল স্থানেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার কথা বলেন তারা।
তারা আরো বলেন, খুচরা বা রাস্তার দোকানদের জরিমানা বা জেল দিয়ে তেমন কোন লাভ নেই। এখন থেকে উৎপাদন জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। সেইসাথে প্রতিটি দোকানে বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও বিক্রয় রশিদ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ভ্যাট সঠিকভাবে আদায় হবে। এটা হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর পন্যের মূল্য অধিকহারে নিতে পারবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।