নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ ও পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে নগরীর বুলনপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগি যুবদল নেতা ও দলিল লেখক শামীম রেজা (হিটলার)। তিনি বুলনপুর এলাকার সেলিম রেজার ছেলে। তিনি উল্লেখ করেন ২০০৩ সাল থেকে বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানার হাত ধরে যুবদলের রাজনীতি শুরু করেন। এখন পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর যুবদলের একজন নির্যাতিত কর্মী হিসেবে দলের সঙ্গেই আছেন। তিনি রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির একজন দলিল লেখক হিসেবে কর্মরত আছেন। শত অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলকে ভালোবেসে যুবদলের সাথেই আছেন। তিনি কখনো দল ত্যাগ করার চিন্তা করেননি।
দলকে ভালোবেসে জেল খেটেছেন, মার খেয়েছেন এবং বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তারপরও কিছু কুচক্রী মহল তাঁর বদনাম করার জন্য বিভিন্ন কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি প্রার্থী হয়ে দলিল লেখক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দুই দ্ইুবার নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে তাঁকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তৎকালীন কমিটির সভাপতি মহিদুল হক ও মলার গং আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে তাঁকে দলিল লেখক সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেননি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতার দাপটে মহিদুল গং পরবর্তীতে তাঁকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থীও হতে দেননি। আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর উপর অমানবিক নির্যতন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন মহিদুল গং ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাঁকে তাদের সাথে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং তাঁর অগোচরে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু করেছে কিনা তা জানেন না তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে নানা য়ড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি মহল। তিনি কখনো আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন না। এখনো তিনি আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোনভাবেই সহযোগিতা করছেন না। এরপরেও পলাতক মহিদুল এর অনুসারীরা তাঁকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, মহিদুল গংরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আটজন পবার দলিল লেখককে সদরে দেখিয়ে ফায়দা লুটছে। শুধু তাইনয় নিয়ম বহির্ভূতভাবে আরো চল্লিশজন এখানে কাজ করছে। তাদের কোন কাগজপত্র ঠিক নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। যাচাই-বাছাই করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাঁর বন্ধকৃত বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করার দাবী জানান। শেষে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে প্রকৃত সংবাদ প্রকাশ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন হিটলারের মা রাজশাহী মহানগরের ৪নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি মুক্তা শারমিন ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু।