নিজস্ব প্রতিবেদক: সবাই বলে নারীরা অবলা ও কর্মহীন। আবার নারীরা পরিবার ও সমাজে কোন মতামত দিতে পারেনা। তৎকালীন সময়ে নারীদের চকরীর ক্ষেত্রগুলো ছিলো অপ্রতুল। এ অবস্থা থেকে পরিবার, সমাজ তথা দেশের মধ্যে নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়িত করতে মেয়েদের শিক্ষার জন্য অবৈতনিক করেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শুধু শিক্ষা কার্যক্রম অবৈতনিক নয়, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য চাকুরী ক্ষেত্রে ষাট ভাগ কোটা চালু করেন।
এতে করে নারীরা এস.এস.সি পাশ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকুরী পেতে শুরু করেন। ফলে তাদের উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে, রোববার সকালে পবার পারিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
বর্তমানে নারীদের উন্নয়ন ও প্রায় সকল সেক্টরের চাকরীর সুযোগ বিএনপিই করে দিয়ে গেছে। অথচ পতিত সরকারের দোসররা তা না মেনে ও স্বীকার না করে অবৈধ ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার কথা প্রচার করে বেড়াতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিলন আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর অভিষ্যৎ। তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। এজন্য সকলকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পৃথিবী এখন ভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। কমছে সরকারী চাকরীর সুযোগ। এজন্য শিক্ষার্থীদের চাকরীর পেছনে না ঘুরে উদ্যেক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি সকল শিক্ষার্থীকে যে কোন ট্রেড অনুযায়ী কারিগরী শিক্ষা গ্রহন করার আহ্বান জানান।
মিলন বলেন, যারা হাতে কলমে কর্মমুখী কাজ শেখে তারা কখনো বেকার থাকেনা। তারা সব সময় কাজের মধ্যেই থাকে। সেইসাথে অন্যান্যদেরও তার প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দিতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল যুগ চলছে। সবার হাতে স্মার্ট ফোন রয়েছে। স্মার্ট ফোট একজন মানুষের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু তা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। এজন্য স্মার্ট ফোনে মুখ থুবড়ে পরে না থেকে বই পড়া এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করার পরামর্শ দেন প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সব শেষে বিদায়ী এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের হাতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
পারিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে এবং অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রেজাউল করিম, সাজ্জাদ ও রেন্টু, পারিলা ইউনিয়ন যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম রবি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোস্তাক ও জেলা তাঁতীদলের সাবেক সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান হাসান। এছাড়াও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযেগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।