নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা ছিলো সব থেকে ঘৃন্য এবং পিচাস প্রকৃতির একজন শাসক। তিনি বিশ হাজার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীকে হত্যা করা করেছে। হত্যা ও গুম করেই ক্ষান্ত হননি ষাট লক্ষ নেতাকর্মীদের নামে পাঁচ লক্ষ মামলা দিয়েছে। এই মামলা একেকটি একেক রকমের। কোনটা গায়েবী, কোনটা ষড়যন্ত্রমূলক, কোনটা আবার উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই সকল মামলা ঘটনাস্থলে থাকলেও হত না থাকলেও হত। এছাড়াও আওয়ামী পুলিশরা আবার রাস্তার মধ্যে আটক করে পকেটে হাত দিয়ে মাদকের নাটক সাজিয়েও মামলা দিতো। সারাদিন তারা মামলা আর আটক বাণিজ্য নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো। এছাড়াও জুলাই-আগস্টে আন্দোলন থামাতে ছাত্র-জনতার উপরে গুলি করে পাখির মত করে ছাত্র-জনতাকে মেরে ফেলেছিলো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের ভেড়াপোড়া বাজারের বড়গাছী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনেরর আয়োজনে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের পক্ষে গণসচেতনতা মূলক প্রচারণায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে পরেছিলো। এখন যত সামান্য ব্যবসা শুরু হলেও ব্যবসায়ীরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারেনি। শুধু তাইনয় পড়ালেখাও শেষ করে ফেলেছিলো। শতভাগ শিক্ষিত করার লক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেই পাস বা জিপিও-৫ দয়ো হতো। এতে করে শিক্ষার্থীরা স্কুলে কিছুই শিখতোনা। এ জায়গায় এখন কতাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে খোলা জায়গায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কোন সভা করতে দেয়া হতোনা। দিলেও পুলিশ লীগ দাঁড়িয়ে থাকতো, সময় বেঁধে দিতো। এমনকি কোন বক্তব্য দিতে তাও তারা বলার চেষ্টা করতো বলে উল্লেখ করেন মিলিন।
মিলন আরো বলেন, শেখ হাসিান নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। শুধু তাইনয় আমি-ডামি নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে, এবং আগের দিন ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রাখতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসেই নির্বাচন হবে বলে আবারও অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার ভাষনে আবারও পুনরাব্যক্ত করেছেন। এজন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে নেতাকর্মীদের নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই কর্মীসভা শুধু বসে বক্তব্য শোনা নয়। এখান থেকে প্রতিটি সেন্টার কমিটি গঠন করা হবে। এর আগে সবাইকে সদস্য হতে হবে। যখন তপশিল ঘোষনা করা হবে ঠিক তখনি কেন্দ্র কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন তিনি। মিলন আরো বলেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যেয়ে বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে আর দাড়িপাল্লায় ভোট চাচ্ছে। তারা বোঝাচ্ছে দাড়িপাল্লা হচ্ছে বেহেস্তের প্রতিক। এই মোনাফেকদের হতে সাবধান থাকা এবং পরিবার ও এলাকার সাধারণ জনগণকে মোনাফেকদের দোকায় না পরার জন্য পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজও বলেছেন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসাে থ একই দিনে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। তিনি আরো বলেছেন সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা দেশ যতদিন থাকবে, সময়ে প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে। মিলন বলেন, ধানের শীষের স্বার্থে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্য হতে হবে। ঐক্য ছাড়া জামায়াত ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া সম্ভব নয়।
মিলন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলাম নির্বাচন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এক সময়ে বলছে পিয়ার পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাবেনা। আবার বলছে সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না। এখন আবার চলছে গণভোট ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনভাবেই করতে দেয়া হবেনা। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতের পক্ষ নিয়েছিলো। যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে। শুধু তাইনয় ১৯৮৬ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জাতীয় মোনাফেক এ পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি সাথে নির্বাচন করে এমপি মন্ত্রী হওয়ার পরে আবারও এই মোনাফেকরা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে এক হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো।
বড়গাছী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ গাজীয়ার রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, নওহাটা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর সরকার জেড, বড়গাছী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক ভিকু ও জয়নাল হক মেম্বর এরবং কবীর হোসেন, বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন, মকবুল হোসেন, জয়নাল, আলহাজ¦ আব্দুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহসিন, রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ রানা শেখ, পবা উপজেরা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম শাহীন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন আকতারুজ্জামান, বড়গাছী ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি কহিনুর হোসেন, সদস্য সচিব মিনারুল ইসলাম, বড়গাছী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আলী।