নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজশাহী মহানগরীতে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। টহলে আছেন র্যাব সদস্যরাও। লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
বিকাল ৫টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। এ সময় তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতদিন কঠোর লকডাউন হবে। লকডাউন মানে লকডাউন। আমরা চাই একটা কমপ্লিট লকডাউন।’
পরে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে নিয়ে সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের লকডাউনের বিষয়ে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
এদিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা, কোর্ট ষ্টেশন, কোর্ট অক্টোর মোড়, সিটি বাইপাশ বহরমপুর, লক্ষ্মীপুর, সাহেব বাজার, বিন্দুর মোড় রেলগেট, স্টেশন, ভদ্রার মোড়, তালাইমারী, বিশ্ববিদ্যালয় গেট, বিনোদপুর বাজার ও কাঁটাখালীতে পুলিশের জোরদার টহল দেকা যায়। তারা প্রতিিিট যানবাহন চেক করেন। সেইসাথে তাদের ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। বিভিন্ন মোড়ে টহলরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক তারা কাজ করছেন। সর্বাত্বক লকডাইন পালন করতে যা প্রয়োজন তাই তার করবেন বলে জানান। সেইসাথে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে জনগণকে না আসার জন্য নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য সারাদেশে চলমান লকডাউন চলছে। এদসত্বেও সীমান্তবর্তী জেরা হওয়ায় সংক্রমনের হার প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে আজ শুক্রবার রাজশাহীতে করোনায়া আক্রান্ত হয়ে পনেরজন মারা গেছেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগর এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্কিট হাউজে সভা করে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
এর আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে দুদফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলো। বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই এখন সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। হাসপাতালেও ফুরিয়েছে করোনা রোগী রাখার জায়গা। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়।