নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে সাত দিনের জন্য শুরু হয়েছে সর্বাত্বক লকডাউন। শহরের সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ঔষধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজশাহীর প্রবেশ পথ কাশিয়াডাঙ্গা, কাঁটাখালী ও আমচত্বর দিয়ে নানা অজুহাতে মানুষ প্রবেশ করছে শহরে। তবে এসব চেক পয়েন্টে আইনশৃংখলাবাহিনী রয়েছে তৎপর। সেইসাথে ভ্রাম্যমান আদালতও চুষে বেড়াচ্ছে পুরো শহর।
এত কিছুর পরেও মানুষকে রুখতে পারছেনা তারা। ভ্যান, অটোরিক্সা, রিক্সা ও অনান্য যানবাহনে এসে চেক পোষ্টে নেমে পায়ে হেঁটে আসছেন শহরের দিকে। বাধা দিলে তারা কেউ চিকিৎসা, কেউ অফিসে এবং কেউ আবার নিজ বাড়িতে ফিরছেন বলে জানান। আজ শনিবার দুপুরের নগরীর আমচত্বর এলাকায় এমনটি পরিলক্ষিত হয়। শহরে মুখে আসা বাগমারার আব্দুল গণি, মোহনপুরের সাদ্দাম হোসেনসহ আরো অনেকে বলেন, তারা চিকিৎসার জন্য শহরে আসছেন। লকডাউনতো আর অসুখ মানবেনা। তাই তারা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে শহরে দিকে রওনা হয়েছেন। পথে আরো অনেক জায়গায় তাদের নামতে হয়েছে এবং যানবাহন পরিবর্তন করতে হয়েছে।
এছাড়াও মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ব চোখে পড়ার মত। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে তারা রেসলিংএ মেতে উঠেছে। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে কারনে অকারনে শহরের প্রবেশ করছে। আর প্রতিটি বাইকে দুই থেকে তিনজন করে রয়েছে। আবার অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তারা শহরে বসবাস করলেও শহরের বাহিরে চাকরী বা অনান্য কাজ করেন। কিন্তু তারা যানবাহনের অভাবে গন্তব্য যেতে পারছেন না। অগত্য পায়ে হেঁটে তারা কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এবিষয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনা সত্য। তিনিও নিজেও দেখেছেন। এটা রোধ করতে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসাথে পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনগুলো আটক করে নিজ নিজ থানায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও অকারনে জনগণ যেন শহরে না আসতে পারে এবং কোথাও যেন জটলা না করতে পারে সেদিকে নজরদারী বাড়ানোর জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। সংক্রমণের বিস্তার রোধ ঠেকাতে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ সভায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ১৭ জুন মধ্যরাতে শেষ হবে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর প্রশাসন। এ কারণে বিকেল ৫টার পর থেকেই রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে। পুলিশি তৎপরতায় মার্কেট ও দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।