আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলের নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিকল্প প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মাথায় এশিয়ার দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আশ্বাস দিলেন তিনি।
রোববার নতুন জোট সরকার গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। এর মাধ্যমে অবসান হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন। ৬০-৫৯ ভোটে অনুমোদন পায় নতুন জোট সরকার। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাফতালি বেনেত। আর লিকুদ পার্টির প্রধান হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন নেতানিয়াহু।
এ অবস্থায় বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলের নতুন সরকার। দায়িত্ব নিয়েই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘দু’দেশের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো। আপনাকে দ্রুত ইসরায়েলে স্বাগত জানাতে পারবো বলে আশা রাখি’।
ইসরায়েলের নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার পরই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাফতালি বেনেতকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি লিখেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন। আগামী বছর যেখানে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি, সেই লক্ষ্যে আমি আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আমাদের দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে গভীর করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’
অপর এক টুইট বার্তায় নেতানিয়াহুকে মোদি লিখেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার সফল দায়িত্ব পালন শেষ করায় আপনার নেতৃত্ব ও ভারত-ইসরায়েলের কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে ব্যক্তিগত গুরুত্বের জন্য আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান ঘটাতে প্রবল মতাদর্শিক বিরোধিতা নিয়েও নতুন জোট গঠন করেছে ইসরায়েলের আটটি রাজনৈতিক দল। জোটের শর্ত অনুসারে, ইয়ামিনা পার্টির নেতা বেনেত ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবেন। এরপর ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। লাপিদ দুই বছর ক্ষমতায় থাকবেন।