এস. আর. ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মামলাটি করেন হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন। রোববার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ।
ডিসি বলেন, ‘বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেয়ে মেহেজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন করেন মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন। মামলার বিবাদী মেহেজাবিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে মেহজাবিন নামের এক নারী তার বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী (৪৫) ও বোন জান্নাতুলকে (২০) হত্যা করেন। হত্যার শিকার প্রত্যেকের গলায় দাগ ছিল। পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর পর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে মেহেজাবিন বলেন, ‘আমি আমার বাবা-মা এবং বোনকে খুন করছি। আমার স্বামী ও মেয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। তাদেরও খুন করতে পারি। নিজকেও খুন করে ফেলতে পারি। আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন। আমাকে ধরেন।’
উল্লেখ্য, গত তিন দিন আগে স্বামী শফিকুল ইসলাম ও সন্তান মার্জান তাবাসসুমকে নিয়ে রাজধানীর কদমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী মেহজাবিন মুন। গিয়েই তার ছোট বোন ২০ বছর বয়সী জান্নাতুলের সঙ্গে নিজ স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেহজাবিনের। সেই জের ধরেই তিনি বাবা-মা, ছোট বোনকে নারকীয়ভাবে হত্যা শেষে ৯৯৯ এ কল দিয়ে নিজেই হত্যা করার কথা জানান।