নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পবা উপজেলার কাঁটাখালি পৌরসভার সার্বিক তত্ত¡াবধানে ও নেহার বানু কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় মানুষের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন কাঁটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কাঁটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক, হরিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, কাঁটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন ও কাঁটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিতরণকালে প্রধান অতিথি বলেন, অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের করোনা মহামারী আকার ধারন করেছে। ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আরো মারাত্বক আকার ধারন করেছে। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সরকার প্রায় পুরোদেশ দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন করে রেখেছে। কলকারখানা, অফিস, আদালত ও যানবাহন সিমিত আকারে চললেও নিত্যপন্য দ্রব্য এবং ঔষধ ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এই সকল কর্মহীন ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তিনি এর তদারকী ও খোঁজ খবর রাখছেন। শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় নগদ অর্থও প্রদান অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশে স্থানীয়ভাবে সরকারী ও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী প্রদান অব্যাহত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, করোনা একটি ছোঁয়াছে ভাইরাস। এই ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের বাাঁচাতে হলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বাহিরে আসলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে জানান প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে তিনি ১০০০জন অসহায় মানুষের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এরমধ্যে রয়েছে ১৫ কেজি চাল, হাফ কেজি সরিষার তেল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি আলু।