আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র চার মাসের মধ্যেই পদ থেকে সরে গেলেন তীরথ সিং রাওয়াত। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তার পদত্যাগের কারণে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর। কেননা, মনে করা হচ্ছে মমতাকে নৈতিকতার প্রশ্নে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই তীরথকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এখন প্রশ্ন উঠেছে তীরথ সিং রাওয়াতের সঙ্গে মমতার যোগসূত্র কোথায়? তারা দুজন উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হলেও কেউই বিধানসভা ভোটে জয় লাভ করে আসেননি। তীরথ চলতি বছরের মার্চে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ছিলেন লোকসভার সাংসদ। এদিকে মমতা রাজ্যে দলকে জয়ী করতে পারলেও নিজ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, বিধানসভায় জিতে না এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য দেশটি বর্তমানে কোনো নির্বাচন বা উপনির্বাচনের আয়োজনে দ্বিধাদ্বন্দ্বে নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে মনে করছেন, এ সুযোগে তীরথকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মমতাকে লক্ষ্য করে বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি।
এদিকে তীরথ সিং পদত্যাগের পর বলেছেন, করোনার প্রভাবে এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। সাংবিধানিক সংকট হওয়ার সম্ভাবনায় চিন্তাভাবনা করে নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেছি। সূত্র : আনন্দবাজার