নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। সেই সাথে ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্যান্ডের ৮ টি স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন নরগীর বোয়ালিয়া মডেল থানার দরগাপাড়ার আবুল কালামের ছেলে সোহেল (২০) ও অরিফের ছেলে অমিত (২০), উপর ভদ্রা রেলবস্তির সুমনের ছেলে শাকিল (১৯) এবং বেলপুকুর থানার পশ্চিম জামিরা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে তুখরেজুল ইসলাম শাহেদ (৩০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৯ জুন নাইমুল হাসান (৪৮) এর ছেলে হাসান শাহরিয়ার নাসিফ প্রতিদিনের মত শরীর চর্চা শেষে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি গোরহাঙ্গা মোড়ে বিআরটিসি কাউন্টারের নিকট এধষধীু ঝ৮ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে মারধর করে আটক রাখে এবং ছেড়ে দেওয়া শর্তে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে বিকাশে দুই হাজার টাকা দাবী করে।
নাফিসের বাবা তার ছেলের অবস্থান জানতে চেয়ে সশরীরে হাজির হয়ে টাকা দিতে চাইলে ছিনতাইকারীরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। এ অবস্থায় নাফিসের বাবা তাৎক্ষনিক ছেলের খোঁজে বের হন এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশি সহযোগীতা চান। ইতিমধ্যেই ছিনতাইকারীরা নাফিসকে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। একপর্যায়ে নাফিস সুযোগ বুঝে দৌড় দিয়ে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন তারা।
মামলা পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী আকবর ও তার টিম ঐ সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে আসামীদের সনাক্ত করেন। এরপর গত ২ জুলাই শুক্রবার রাত ১১ টা হতে আজ শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সোহেল (২০) ও শাকিল (১৯)কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন তুখরেজুল ও অমিতের নিকট বিক্রয় করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে আজ সকাল ৮.৫০ টায় নগরীর গৌরহাঙ্গা মোড় হতে আসামী তুখরেজুল এবং অমিতকে আটক করেন। এসময় তাদের নিকট থেকে নাফিসের ছিনতাই হওয়া মোবাইলসহ আরো ৮ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান থানা কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানা গেছে।