নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় ১৫০০ জন মানুষের মধ্যে আজ বুধবার(১৪ জুলাই) রাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাঁটাখালীর মাসকাটাদীঘি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। সভাপতিত্ব করেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, দেশব্যাপি করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। রাজশাহীতে এর প্রকোপ অনেক বেশী। প্রতি তিনজনে একজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনায় সংক্রমনের যখন এই অবস্থা সরকার ঈদুল আযহার কথা বিবেচনা করে আজ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শিথিল করেছে। সরকারী বেসরকারী অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল কিছু খোলা থাকবে ২২ জুলাই পর্যন্ত। এরমধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং অবশ্যই মাস্ক পরার আহবান জানান মেয়র।
মেয়র আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা চিন্তা না করে জনগণকে বাঁচাতে দীর্ঘদিন থেকে লকডাউন দিয়ে আসছেন। এতে দেশের উন্নয়নের চাকা অনেকাংশে স্থবির হলেও প্রধানন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ উনয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। রিজার্ভ এখনো বাড়ছে। কিন্তু জনগণ যদি সরকারী নির্দেশনা না মানেন তাহলে উন্নয়নের চাকা থেমে যেতে সময় লাগবেনা। সেইসাথে বাড়বে মৃত্যুর মিছিল।
মেয়র আরো বলেন, বর্তমানে দেশের সকল মেডিকেলে করোনা চিকিৎসার জন্য বেড খালি নাই। সিসিইউ, আইসিইউও কোন প্রকার ফাঁকা নাই। সংক্রমণের যে অগ্রগতি তাতে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে যারা করোনার টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সেইসাথে অনলাইনে নিবন্বধন করতে কষ্ট হলে পৌরসভায় এসে নিবন্ধন করার কথা বলেন মেয়র।
তিনি বলেন এই সালের মধ্যে কাঁটাখালী পৌরসভাকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। এতে করে চুরি, চিনতাইসহ নানা প্রকার অপকর্ম রোধ হবে। পৌরবাসী নিরাপদে চলাচল ও ঘুমাতে পারবেন। সেইসাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর অনুমতি সাপেক্ষে একটি হাই কোয়ালিটি ড্রোন ক্রয় করে কাজ করা হবে। এ লক্ষে সিসি টিভি স্থাপন করা হবে। সেইসাথে দক্ষ টেকনিশিয়ান সমৃদ্ধ কন্ট্রোল রুম তৈরী করা হবে।
এছাড়াও এই সালের মধ্যেই প্রাপ্য সবাইকে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনা হবে। সেইসাথে চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত শেষ করে ২০২২ সালে কাঁটাকালী পৌরবাসীকে নতুন ঝকঝকে পৌরসভা উপহার দেবেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন মেয়র।
বক্তব্য শেষে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতনের উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন ও কাটাখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল এবং আধা লিটার সরিষার তেল দেয়া হয়। এ সময়ে কাটাখালী কেন্দ্রীয় ঈদগাহের ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান, মাসকাটাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও কাঁটাখালী বাজারের ব্যাবসায়ী শরিফুল ইসলামসহ শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্য, এলাকার হাজীবৃন্দ, পৌর সকল কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।