বিনোদন ডেস্ক : মদই কাল হলো গ্লামার গার্ল পরীমণির। হালের আলোচিত-সমালোচিত এই নায়িকা ২০১৫ সালে রুপালী পর্দায় নাম লেখানোর পর থেকেই, উল্টা-পাল্টা জীবন-যাপন শুরু করেন। নিজের পাশাপাশি প্রিয়জনদের তৃষ্ণা মেটাতেই বাসায় গড়ে তোলেন বার। দিনে দিনে সেখানে বাড়তে থাকে মনোরঞ্জন প্রেমীদের আনাগোনা। র্যাব জানায়, পরীমণির মদের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ। আর যেসব মাদক জব্দ করা হয়েছে তাও অনুমোদনহীন।
বাবা-মা হারানো, এতিম পরীমণির জীবনে হয়তো ভালো কোন বন্ধুর দেখা মেলেনি। তাইতো রুপালী পর্দায় আসার পর থেকেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে। ভদ্রলোক বেশে যারা তার আশপাশে ছিলেন তারা মেয়েটির কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিলেও দায়িত্বশীল হতে পারেননি। মদ খেয়ে কেবল ফুর্তিতেই মেতে ছিলেন। রঙিন জীবনে স্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে পরীমণিও মদের বোতল দিয়ে ঘর সাজিয়েছিলেন।
আভিজাত্যের ছোঁয়া পেয়ে পরীমণি হয়তো তার অতীত সংগ্রামী জীবনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। বেপরোয়া জীবনে বোট-ক্লাবসহ ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে মাদকাসক্ত অবস্থায় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নাসির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের সময়ও পাশের রুমেই ছিলো মদের বারটি। পরীমণির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউই তখন এ ব্যাপারে তাকে সতর্কও করেনি।
চার আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় মদের ডেরায় হানা দেয় র্যাব। জব্দ করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও ভয়ঙ্কর মাদক আইস। পরীমণির জলসাঘরে বসত ডিজে পার্টি। সেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য, যোগান দেয়ার অভিযোগ আছে নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে।
র্যাব জানায়, যে পরিমাণ মদ পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে তার কোনও অনুমোদন নেই। পরীর জলসাঘরে সুরা পান করতে কারা হাজিরা দিতো, তাদের বিষয়ে খোঁজ চলছে বলে জানায় র্যাব।