নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন লকডাউনের ধকল কাটিয়ে সারা দেশেন ন্যায় রাজশাহীতেও আজ বুধবার থেকে খোলা হয়ে মার্কেট, বাজার, শপিংমল, অফিস, আদালত ও যানবাহনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে অন্যান্য শহরের ন্যায় রাজশাহী মহানগরী। নগরীর প্রতিটি মার্কেট খোলা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। সেইসাথে বেশীর ভাগ ক্রেতা ও বাজারে আসা জনগণের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। বাজারে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দেখে মনে হয়নি গতকালও ছিলো নিস্তেজ এই মহানগরী। তবে প্রথম দিন ব্যবসায়ীদের দোকনের পণ্য পরিস্কার করতেই বেশী ব্যস্ত ছিলেন।
এই যখন বাজারের অবস্থা তখন লকডাউন ও ঈদের সময়ের ন্যায় জনগণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন এবং সচেতনতামুলক প্রচার করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। যাদের মুখে মাস্ক নাই তাদের মুখে মাস্ক পড়িয়ে দেন। এসময়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, ইতোমধ্যে তারা পঁচিশ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন। আগামীতে আরো পঞ্চাশ হাজার মাস্ক বিতরণ করবেন। এছাড়াও এক লক্ষ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, চলমান লকডাউনে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী জীবিকার তাগিদে ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। ব্যবসায়ী ও জনগণের যখন এই অবস্থা ঠিক তখনই জনগণের কথা চিন্তা করে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকার লকডাউন শিথিল করেছে। এ জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে সরকার ও সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সেইসাথে আর কোন লকডাউন নয়, ব্যবসায়ী, জনগণ ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, শুধু ত্রেতা বা সাধারণ জনগণের মধ্যেই মাস্ক বিতরণ নয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীকে মাস্ক পড়ে ব্যবসা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসাথে প্রতিটি দোকানে হ্যান্ডস্যানিটাইজার রাখার কথা বলেছেন এবং নো-মাস্ক, নো সার্ভিস নীতি গ্রহন করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলেছেন বলে জানান তিনি। করোনা থেকে বাঁচতে সকল সরকারী নির্দেশনা মেনে চলা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পড়ার অনুরোধ করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান স্বজল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল আলম রিপন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামারুজ্জামান সজলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।