নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার আজ রোববার দুইজনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। পঞ্চম দিনে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার, নিহত ইসমাইলের মা মাজেরা বেওয়া ও পালপুর গ্রামের সমসের আলী স্বাক্ষ্যগ্রহন করেন। এপর্যন্ত মোট ৩৫জন আসামীর মধ্যে সর্বোমোট ১২জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক।
উপস্থিত স্বাক্ষীগণ সবাই আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী প্রদান করেন। তারা সকলেই বলেন, তাদের চোখের সামনে আসামীরা ইসমাইলকে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করেন।এতে তারা মৃত্যু হয়।
যুবলীগ নেতা ইসমাইলের আইনজীবি বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এবং জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এপিপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাক্ষী প্রদানকৃত স্বাক্ষীরা এই কথা বলছেন। সকল স্বাক্ষী আসামীদের বিপক্ষে স্বাক্ষ্যদেবেন বলে তারা উভয়ে আশাব্যক্ত করেন। আর এভাবে স্বাক্ষ্য গ্রহন হলে খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে রায় হবে। আর এই রায়ে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে জানান এই দুই আইনজীবি।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আর মামলা স্বাক্ষ্যগ্রহন গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ হতে রাজশাহী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে।