শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

মোহনপুরের গোছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ

  • প্রকাশ সময় মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৭০ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুরে গোছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অত্র বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক কুদরতুল্লাহ কবিরাজের স্ত্রী রোকেয়া ফাতেমা বলেন, তার স্বামী এই স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

তিনি এই বিদ্যালয়ে জমি দান করেন। তাদের জমির উপর এই বিদ্যালয়। সে সময়ে স্কুলের মাঠের পাশে তার স্বামী বাড়ি করেন। এই বাড়ি এখন অবৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মিজান ও বতর্মান স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এমরান সোনার ভাঙ্গার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরো অভিযোগ করেন বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক ১২ বছর চাকরীর মেয়াদ হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে পারেন। কিন্তু সভাপতি এমরান সোনার অবৈধ লেনদেন করে সহকারী শিক্ষক থেকে গোপনে অত্র বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষককে সরকারী কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে মিজানকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে গোপনে রেজুলেশ করেন। তিনি আরো বলেন, এই প্রধান শিক্ষক একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি। তিনি প্রায় দিন নেশা করে রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে অত্যাচার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানান রোকেয়া ফাতেমা।

রোকেয়া আরো বলেন, তার স্বামী যখন প্রধান শিক্ষক ছিলেন সে সময়ে বিদ্যালয়ের অনেক নিয়ম শৃংখলা ছিলো। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো অনেক। স্কুলের এই অবস্থা দেখে তার অনেক কষ্ট হয়। তিনি একজন হার্টের রোগি। প্রায় প্রতিদিন এই ধরনের অত্যাচার তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। যে কোন সময় তার দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর এর জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোস্তাাফিজুর রহমান মিজান এবং সভাপতি এমরান সোনার।

এদিকে মৌলভী শিক্ষক সোল্ইামান আলীর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতা নাই। কোন মৌলভী শিক্ষক কোনদিন প্রমোশন পাবেন না। আর এই কাজটি সভাপতি এমরান সোনার জোর করে করিয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হতে পারেন কিনা এবং নেশা করে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে অত্যাচার এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোস্তাাফিজুর রহমান মিজান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। নেশা করে কাউকে তিনি গালিগালাজ করেননি। আর তাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি।

বর্তমান সভাপতি এমরান সোনার এর নিকট নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে মোবাইল কল রিসিভ করেন। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন। কিছুক্ষণ পরে আবার মোবাইল করলে তিনি কল রিসিভ না কেটে দেন। এজন্য তার নিকট থেকে কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin