নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৭ অক্টোবর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ছয়জন কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও শেষ মুহুর্তে রাকিব হাসান নামে একজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা না দিয়ে আরেকজন প্রার্থীকে সমর্থন দেন। অবশিষ্ট পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচজন প্রার্থীর প্রার্থীতা যাচাই বাছাই করে সবাইকে বৈধ ঘোষনা করেন রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে উপনির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার আহমেদ আলী। মনোনয়নকৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন রাসেল জামান, এ.কে.এম রাশিদুল হাসান টুলু, শামীনুর রহমান রিডার, সোয়েব হাসান বাবু ও সাইফুল্লাহ শান্ত।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন অফিসার সুস্মিতা রায়, কর অঞ্চল রাজশাহীর কর পরিদর্শক দেবাশীষ শীল এবং বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া থানার পুলিশ সদস্য এবং সকল প্রার্থী ও তাদের সমর্থনকারীগণ।
যাচাই বাছাই শেষে আহমেদ আলী বলেন, চলতি মাসের ১৯ তারিখ রোববার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ২০তারিখ সোমবার দুপুর ১২টায় প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মোট চারটি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যেমে ভোট গ্রহন করা হবে। এজন্য আগামী অক্টোবর মাসের ৫তারিখ মক ভোট গ্রহন করা হবে। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি প্রার্থীর একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প হবে। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার প্রচারণা করা যাবে। প্রচারণায় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। একজন প্রার্থী মাত্র একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিক বরাদ্দ পর্যন্ত অত্র ওয়ার্ডের সকল প্রার্থীর ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারন করতে হবে। প্রতিক বরাদ্দের পরে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার তৈরী করতে হবে। কোন দেয়ালে পোস্টার লাগানো যাবেনা বলে জানান তিনি। সরকারী এসব নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সরকারী নির্দেশনা মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সকল প্রার্থীদের অনুরোধ করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি এখানে আসার পরে রাজশাহীতে বেশ কয়েকটি নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। রাজশাহীবাসী অনেক ভাল। তারা সরকারী নির্দেশনা মেনে চলেন। এবারেও এর ব্যতিক্রম হবেনা বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু ইভিএম এ নির্বাচন হবে সেহেতু পাঁচ অক্টোবর খুব ভাল করে মক টেস্ট ভোট গ্রহন করা হবে। ভোটারগণ যাতে বুঝতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। সেইসাথে প্রার্থীদের নির্বাচনী সকল প্রকার সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান তিন।