নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মাদক নাই, এই কথা না বলে এটাকে অনুভব করতে হবে। তাহলে বুঝা যাবে মাদক আছে কি নাই। মাদক নির্মূলে একটি একশন প্ল্যান তৈরী করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মদক বন্ধে আন্তরিক ও সমন্বিত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে সহজ হবে।
আজ শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে “মাদক অপরাধ দমনে করণীয় নির্ধারণ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মন্ডল পিএএ (অতিরিক্ত সচিব) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা গুলো বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, সরকারীভাবে বাংলাদেশে কেয়ার বাংলাদেশ, আইসিডিডিআরবি ও সেভ দি চিলড্রেন তেরটি সেন্টারের মাধ্যমে মাদকসেবীদের চিকিৎসা প্রদান করেন। এছাড়াও বেসকারীভাবে এর চিকিৎসা প্রদান করা হয। কিন্তু পরিতাপের বিষয় চিকিৎসকের অভাবে এই রোগিদের ভালভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যাচ্ছেনা।
তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের অনেক চিন্তা ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু সে সময়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করে গেছেন। বর্তমান সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একই পথ অনুসরন করছেন বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে পার্শবর্তী দেশের সাথে চুক্তি রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার এই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে মটিভেশনার ওয়ার্ক ও অপারেশনাল ওয়ার্ক করা জরুরী প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতাই যথেষ্ট উল্লেখ করে আইন শৃংখলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে এক সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন।
তবেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। না হলে এই ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করেন তিনি । সেইসাথে অভিাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তার দপ্তর হতে মাদক নিয়ন্ত্রণে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান অতিথি। এছাড়াও উপস্থিত অতিথিদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ গুলো সরকার প্রধান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব ও সভা পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। মাদক নিয়ন্ত্রণ সক্রান্ত উপস্থাপনা পত্র মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কল্যাণ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক।
উপস্থিত থেকে মতামত ও পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন, আরএমপি বোয়ালিয়া বিভাগের ডিসি সাজিদ হোসেন, রাজশাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনি, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল সরকার।
রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহেদী, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, কেশরহাট পৌসভার মেয়র শহিদুজ্জামান, মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কাঁটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাবলুসহ আরো অনেকে।
সভায় সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবদিকবৃন্দ এবং রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।