নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় নির্মিত সিমলা মার্কেটের সম্পূর্ণ এবং বৈশাখী বাজার ও স্বপ্নচূড়া প্লাজার শেয়ার আংশিক হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিতিতে শেয়ার হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের অংশ প্রকৌশল বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে সিটি মেয়র লিটন বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে নির্মাণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, সেটির বাস্তবায়ন হলো। এতে করে শিগগিরই সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। প্রথম মেয়াদে (২০০৮-২০১৩) মেয়র থাকাকালে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে বহুতল ভবন নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেটির বাস্তবায়ন হয়েছে। বহুতল ভবনগুলো থেকে সিটি কর্পোরেশনের আয় হবে, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ সময় মেয়র বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মেয়র আরো বলেন, যেকোন প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার উপর। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয় সীমিত, আছে অর্থ সংকটও। তবে করোনা মহামারি এই সময়েও সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সঠিক সময়ে দিতে পেরেছি। সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির নানামুখী তৎপরতা চলমান থাকবে। আশা করি আগামীতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম। উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, শামসুজ্জামান জেভি‘র স্বত্ত্বাধিকারী শামসুজ্জামান আওয়াল, ঠিকাদার ফরিদ উদ্দিন,এসবি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম।
রাসিকের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল সোবহান, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যাডভাইজার আশরাফুল হক, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ-সাইদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন, সহকারী প্রকৌশলী তানজীর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান, সম্পত্তি কর্মকর্তা আবু নূর মোঃ মতিউর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, নগর ভবনের পশ্চিমে ৮তলা বিশিষ্ট স্বপ্নচূড়া প্লাজা এবং সাহেব বাজার মুড়িপট্টিতে ১০ তলা বিশিষ্ট বৈশাখী বাজার মার্কেট নির্মাণাধীন। মহানগরীর বিলসিমলা এলাকায় ৫তলা বিশিষ্ট সিমলা মার্কেট সম্পন্ন হয়েছে। স্বপ্নচূড়া প্লাজার গ্রাউন ফ্লোর থেকে ৮ম তলা পর্যন্ত ফ্লোর বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও উদ্যোগী সংস্থা শামসুজ্জামান জেভি‘র পক্ষে স্বত্ত্বাধিকারী শামসুজ্জামান আওয়াল স্বাক্ষর করেন। সিমলা মার্কেটের ১ম থেকে ৫তলা পর্যন্ত সম্পন্ন এবং বৈশাখী মার্কেটের ১ম থেকে ৭তম তলা পর্যন্ত এবং স্বপ্নচূড়া প্লাজার বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত আংশিক শেয়ার হস্তান্তরনামা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ১৬তলা বিশিষ্ট সিটি সেন্টারের শেয়ার হস্তান্তরের কথা রয়েছে।