নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বিনিয়োগে অগ্রিাধিকার, কন্যা শিশুর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে রাজশাহীতে জাতীয় কন্যাশিশুদিবস পালিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় থেকে ১২ সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতি হিসেব উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মুহা: আশরাফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন ও বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজরুল ইসলাম। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপিরিচালক শিরিন শবনম। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মন্জুর কাদের ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি সন্তান বাবা মায়ের চোখের মনি। বাবা-মা কখনো সন্তানকে আলাদা চোখে দেখেন না। সে সকল এসব কথা বলে তারা ভূল বলেন। তিনি বলেন, একটি সন্তানের সফলতা পিছনে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত বেশী। কারন বাবারা সর্বদা অর্থ আয়ের পিছনে ছুটে বেড়ান। তিনি বলেন, কন্যাশিশু হচ্ছে একটি বাড়ির সৌন্দর্য। যে বাড়িতে কন্যাশিশু রয়েছে সে বাড়িতে আল্লাহর রহমতও বেশী আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো কন্যারা বাবা-মায়ের বেশী খোজ খবর রাখে। বাব- মা সারাজীবন সন্তানদের শুধু দিয়েই যান। নিজের জন্য কখনো ভাবেন না।
কন্যাশিশুদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, নিজেদের কখনো অবহেলিত ভাবা যাবেনা। নিজেকে সমাজে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এখন ছেলে মেয়ে আর আদালা কিছু নয়। অতিতে পরিবারে এটা ভাবা হতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে। এখন মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। তারা সকল চাকুরীতে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ পরিচালনা করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আঠারো আগে বিয়ে নয়, বিশের আগে সন্তান নয়, এই কথা উল্লেখ করে প্রতিটি বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য সকলকে এগিয়ে আহ্বান জানান। সেইসাথে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়ালেখা করে নিজেকে একজন প্রকৃত মানুষ ও সমাজে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। শেষে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আঠারোর আগে বিয়ে নয় বিষয়ে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান অতিথি।