নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে আবারও শ্যোন এরেষ্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। যতগুলো নতুন করে হয়েছিলো সব মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার( ৩অক্টোবর) তিনি সর্বশেষ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু এই সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী আবারও নতুন করে আরএমপি শাহ্ মখ্দুম থানায় মামলা করেন। জিআর-৬৫/২৩ এবং পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন পুলিশ।
সেই মামলায় মঙ্গলবার এমএম আদালত-২ নিয়ে আসলে মিলন ও সরকারী প্রকৌশলীর মধ্যে জেলা শেষে বিচারক তাঁকে জামিন না দিয়ে শ্যোন এরেষ্ট দেখান। বর্তমানে তিনি রাজশাহী সেন্ট্রাল জেল হাজতে রয়েছেন তিনি। বুধবার আবারও নিয়মিত মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তিনি। এ সময়ে কোর্ট চত্বরে মিলনের মুক্তির দাবীতে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন এবং নানা ধরনের স্লোগান দেন। মিলন নেতাকর্মীদের এ সময়ে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য গত ২৮শে জুলাই বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দিবাগত পৌনে ১টার দিকে ডিবি পরিচয়ে ধানমন্ডি থানার পাশে ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঐ মামলায় গত ৬ আগস্ট ঢাকা হাইকোর্ট থেকে জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে জেল গেট থেকে নতুন ২টি মামলা দেখিয়ে আবারও গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে একের পর এক মামলা করেই চলেছে পুলিশ।
কোর্ট চত্বরে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, বিএনপি ১৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, বিএনপি নেতা আবু আহম্মেদ লাল্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হোসেন ও জেলা যুবদল নেতা সোহেল রানা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের আইনজীবী রইসুল ইসলাম বলেন, সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করছেন। যার কোন ভিত্তি নাই। তিনি বলেন, মিলন একজন অসুস্থ মানুষ। তাঁকে নিয়মিত থেরাপি দিতে হয়। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ। সব মিলিয়ে তিনি অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছেন। অসুস্থতার কথা চিন্তা করে এবং এই মামলাগুলো উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভেবে মিলনকে জামিন এবং আর এই বিষয়ে নতুন করে মামলা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।