স্পোর্টস ডেস্ক : কাজী নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের ঝোড়ো ব্যাটিং। মিরপুরে ক্ষণিক সময়ের জন্য যেন ফিরে আসে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং। নামে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হলেও তেমন কিছুই নেই ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে।
তবে যার দিকে তাকিয়ে সবাই, সেই সাকিব আল হাসানই ব্যর্থ ব্যাট হাতে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ খেলে ফেললেও হাসেনি তার ব্যাট। আজ ২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এর আগের তিন ইনিংস যথাক্রমে ২৯, ০ ও ২০ রান।
সোমবার দুপুরে মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ব্যাট করতে নেমে শেখ জামালের রানের চাকা ধীর গতিতে আগায় আশরাফুল-সৈকত আলীদের ব্যাটে। আশরাফুল ১৫ (২৪) রানে সাকিবের বলে ফিরলে ফারদীন অনিও (০) হতাশ করে ফেরেন সাকিবের বলে। এরপর নাসির হোসেন ৯ রানে ফেরার পর ওপেনার সৈকত ২০ রানে ফেরেন আফিফ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে।
দলের রান যখন ৪ উইকেটে ৫৬, তখন ব্যাট করতে নামেন নুরুল হাসান সোহান। মিপুরের মেঘলা আকাশে যেন চার-ছয়ের বৃষ্টি নামান শেখ জামালের অধিনায়ক।
ম্যাচ সেরা নুরুল হাসান সোহান
মাঝে ইলিয়াস সানি ৫ রানে ফেরার পর জিয়াউর রহমান এসে যোগ দেন সোহানের সঙ্গে। সোহানের ৪টি চার ও ৫ ছয়ে ৩৪ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের সঙ্গে জিয়ার ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬১ রান তোলে শেখ জামাল।
মোহামেডানের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন সাকিব। ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন মাত্র ১২ রান দিয়ে। এছাড়া আবু হায়দার নেন ২টি, আফিফ নেন ১টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে মোহামেডান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান ১২ ও পারভেজ হোসেন ফেরেন শূন্য রানে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ফেরেন ২ রান করে।
তবে শামসুর রহমানের ২৯ রানের পর নাদিফ চৌধুরীর ৪৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ঘুরে দাড়াতে পারেনি বাকিদের ব্যর্থতায়।
শুরুর মতো শেষের ব্যাটাররাও হতাশ করেছে মোহামেডানকে। তাতে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে ১৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিবের দল।
শেখ জামালের হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ এনামুল। এছাড়া ২টি নেন জিয়াউর রহমান, ১টি করে নেন এবাদত হোসেন, সালাউদ্দিন ও ইলিয়াস সানি।