নার্ভাস নাইন্টির ঘরে নার্ভাস হয়েই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে যখন একের পর এক উইকেট দিয়ে আসছিলেন টাইগার ব্যাটাররা, ঠিক তখনই ঢাল হয়ে দাঁড়ান লিটন দাস।
প্রথমে মুমিনুল হকের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। তুলে নেন ফিফটি, পৌঁছে যান শতকের অনেক কাছে।
অথচ গত পাঁচটি ইনিংসে দেশে, দেশের বাইরে উল্লেখযোগ্য কিছুই করে দেখাতে পারেননি লিটন দাস। পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চাশ রানের ইনিংস ছাড়া।
জিম্বাবুয়েতে প্রথমবার খেলতে গিয়ে এমন দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন দলের বিপর্যয়ে। ৬৪.৬২ স্ট্রাইক রেটে ২০০ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন। লিটনের সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ৫ রান দূরে থাকতে ডোনাল্ড তিরিপানোকে পুল করে ছক্কা মারাতে গিয়েই ডেকে আনেন বিপদ।
তার এমন বদলে যাওয়া নিয়ে প্রথম দিন শেষে কথা বলেন সদ্য যোগ দেয় ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
“আমি সপ্তাহ খানেক এই দলের সঙ্গে আছি। আমি মনে করি এই দলে খুব স্কিলফুল কিছু ক্রিকেটার আছে, তারমধ্যে লিটন একজন। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও বলেছে, ৩০-৪০ রানে থাকার সময় উইকেট ছুঁড়ে আসে, মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলে। আমি তাকে বলেছি তুমি যদি তিন ঘণ্টা ব্যাটিং কর, কত রান বা অন্য কিছু ভুলে তাহলে দেখবে সেঞ্চুরির কাছে চলে গেছ। এমনকি আজ যে সে ব্যাট করছিল আমি ঘড়ি দেখছিলাম। সে আজ তিন ঘণ্টার কিছু বেশি ক্রিজে ছিল, দুর্ভাগ্য যে সে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও সুযোগ হারাল কিন্তু, এটা থেকে সে ভাল কিছু শিখবে।”
লিটন দাসকে দারুণ সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই তুলে নেন অর্ধশতক। লিটনের বিদায়ের পর তার হাতেই এখন বাংলাদেশ দল। দিন শেষে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহও বাহবা পেয়েছেন প্রিন্সের।
“মাহমুদউল্লাহ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছে। ইনিংসের ওই সময়টায় আমাদের অভিজ্ঞতার দরকার ছিল, সম্ভবত সে সঠিক ব্যাক্তি হিসেবে অভাবটা পূরণ করেছে। লিটন ওই সময় চাপমুক্ত ইনিংস খেলছিল, মাহমুদউল্লাহ যোগ দিয়ে নিজেদের মধ্যে চাপ-হীন খেলার ব্যাপারে সাহায্য করেছে, একে অপরকে রান করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে।”
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৮৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ৫৪ আর তাসকিন আহমেদ অপরাজিত রয়েছেন ২৩ রানে।