শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ার পথেই নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় ম্যাচেও হার বাংলাদেশের কাছে

  • প্রকাশ সময় শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৬৯ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ট্রেলিয়ার পথেই হাটতে শুরু করেছে টিম নিউজিল্যান্ড। কঠিন পিচে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো সংগ্রহ পেল। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল নিউজিল্যান্ডও। তবে শেষে আর পেরে উঠল না সফরকারীরা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৪ রানে জয় তুলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

আজ শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থামে কিউইরা।

১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচের মতো বাজে শুরু না করলেও দলীয় ১৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে থাকা রচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করে উইকেটের সূচনা করেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার টম ব্লান্ডেলকে ফেরান মেহেদী হাসান। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের কাছে স্টাম্পিং হন তিনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে কিউইদের ৪৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন দেশ সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসান। উইল ইয়ংকে ২২ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। আরেকটি ছোট জুটির সমাপ্তি টানেন নাসুম আহমেদ। অধিনায়ক টম ল্যাথাম কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে নিয়ে ২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও স্বাচ্ছন্দে ছিলেন না গ্র্যান্ডহোম। আর এই সুযোগেই তাকে (৮) মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে মাঠ ছাড়া করা নাসুম।

এরপর মেহেদীর দ্বিতীয় শিকারে দ্রুতই ফিরে যান হেনরি নিকোলস (৬)। এবারও মুশফিক ক্যাচ নিয়ে ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেন।

তবে আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া কোল ম্যাককোনচির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২৮ বলে ৪৫ রান তুলে বাংলাদেশের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক ল্যাথাম। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে নিজেকে ভাসিয়ে দেননি তিনি। এই পিচেও প্রয়োজনের সময় আক্রমণ করে গেছেন। কিন্তু স্বাগতিক বোলারদের চেষ্টায় তার এই লড়াই আর কাজে আসেনি। শেষ অবধি ৪৯ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৫ রানে অপরাজিতই থাকেন ল্যাথাম। ম্যাককোনচি ১২ বলে ১৫ রানে মাঠ ছাড়েন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ও সাকিব ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট দখল করেন নাসুম।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাশ। উইকেটের সমালোচনাকে পেছনে ঠেলে ৯.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান তুলে নেন তারা। প্রথমে ধীরে ব্যাট করা লিটন সময়ের সঙ্গে আক্রমণও শুরু করেন। তবে রচিন রবীন্দ্রর স্লো বলে ক্রস করতে গেলে বোল্ড হয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। ২৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন এই ডানহাতি।

লিটনের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম এসে একটি বলই খেলতে পারেন। তবে সেই বলেই বিদায়। রবীন্দ্র তাকে স্টাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেন। এরপর উইকেটে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করা সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এদিন ৭ বলে ২টি চারে ১২ রান করে কোল ম্যাককোচিনে বলে মাঠ ছাড়েন।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ব্যাট করে রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার নাঈম শেখ। এই জুটিতে ২৯ বলে ৩৪ রান আসে। ছন্দে ব্যাট করতে করতে থাকা নাঈম লম্বা শট খেলতে গিয়ে রবীন্দ্রর তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ডিপ মিড উইকেট অঞ্চলে টম ব্লান্ডেলের কাছে ক্যাচ দেওয়া এই বাঁহাতি ৩৯ বলে ৩টি চারে সমান ৩৯ রানই করেন।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা আফিফ এ ম্যাচে সুবিধে করতে পারেননি। আজাজ প্যাটেলর বলে তুলে মারতে গিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের কাছে ক্যাচ দেন (৩)।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ২২ বলে ৩২ রান তুলে দলকে মাঝারিমানের সংগ্রহ এনে দেন দলনেতা মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ৫টি চারে ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন। আর ইনিংসের শেষ বলে হামিশ বেনেটের বলে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে একটি চারে ১৩ করেন নুরুল।

কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রচিন রবীন্দ্র। এছাড়া একটি করে উইকেট পান আজাজ, ম্যাককোনচি ও বেনেট। দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং করা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।

 

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin