নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পিবিআই এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় মিথ্যা চার্জশিট দাখিল ও হয়রানির দাবী তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী একটি পরিবার। রোববার (০৬ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বাঘা উপজেলার ভারতীপাড়া গ্রামের মৃত কুকন সরকারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও তার পরিবারবর্গ। এ সময় নজরুল ইসলামের ছেলে মজনু (২৮) হাসেম আলীর ছেলে মিলন আলী (৩০) আব্দুল কুদ্দুস মিঠুন আলী (২৫) ও মিজানুর রহমানের বোন রানুয়ারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিঠুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তিনি বক্তব্যে উল্লেক করেন তিনি ও তার পিতাসহ এই মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা কেউ জড়িত না। অথচ তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। তারা দাবী করেন কোন স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসল হত্যাকারিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদীনি সম্পর্কে তার চাচী। আর ভিক্টিম তার চাচাত ভাই। তার বাবার সাথে চাচাদের দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদ চলমান ছিলো বলে বক্তভ্যে উল্লেখ করেন মিঠুন। সেই বিবাদকে পুঁজি করে তাদদের আসামী করা হয়েছে।
বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয় এই মামলার ২ নং আসামী মজনু সেদিন এলাকাতেই ছিলেন না। তিনি কাজের উদ্দেশ্যে পাবনায় ছিলেন। তার পরেও তাকে আসমাী করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে এলাকায় খোঁজ খবর নিলে তাদের সম্পর্খে জানতে পারবেন উল্লেখ করেন তিনি। এই সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে এই মামলার পুনরায় তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের এই মামলায় নিয়ে জড়িত করার দাবি জানান মিঠুন উপস্থিত সকলেই।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে ১২ ডিসেম্বর বাঘার রুস্তমপুর ভারতীপাড়ায় মহির উদ্দিনের ছেলে আরিফ (১৯) নিহত হয়। এ বিষয়ে নিহতের মা বাদি হয়ে বাঘা থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি পিবিআই রাজশাহী শাখাকে তদন্তভার দেওয়া হয়। পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নান উক্ত অভিযোগের তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। নিহত আরিফ হত্যা সময় মিঠুন নববধু নিয়ে গাইবান্ধা জেলায় অবস্থান করছিলেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মামলায় প্রভাবশালী মহল কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে এই আসামিদের যুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা মামলাটি পূণরায় তদন্ত হলে বা অন্য কোন সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। তারাও আরিফ হত্যার বিচার চান। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক সে প্রত্যাশা করেন তারা।এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নানকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করে যা পেয়েছেন তাই চার্জশিট হিসেবে দাখিল করেছেন।