নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগসারা গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে এস এম ই কৃষক মোহাইমিন বিভিন্ন ধরনের কৃষি বীজ উৎপাদন ও বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী। তিনি উচ্চ মূল্যের ফসল-মসুর,সরিষা ওমাসকলাই এর বীজ উৎপাদন করে বিক্রি করেন। মোহাইমিন বলেন, তিনি একজন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। সামান্য লেখাপড়া করায় কোন চাকরী তিনি পাননি। কোথাও চাকরীর খোঁজ না করে তিনি বাবার সংসারে থেকে জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরে আলাদা হয়ে নিজে ৪-৫ জমি নিয়ে চাষবাস শুরু করেন। তিনি গতানুগতিক ফসলের চাষ করে খুব একটা লাভবান হতে না পেরে হতাশায় পরে যান। এমন সময় তার উপসহকারী কৃষি অফিসারের সাথে পরিচয় হয় এবং রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবগত হন। এর তিনি সেখান থেকে মসুর, সরিষা ও মাসকলাই বীজ এবং সার নিয়ে জমিতে চাষ শুরু করেন। এরপর থেকে তার উন্নতি হতে থাকে বলে জানান কৃষক মোহাইমিন।
তিনি আরো বলেন, মাত্র ৩০-৩৫ হাজার টাকা নিয়ে বীজ উৎপাদন শুরু করেন। এই চার বছরে তিনি প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তার ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান স্কুলে লেখাপড়া করে। আর তারা স্বামী স্ত্রী মিলে সংসারে কাজ করেন। তিনি আরো বলেন, আরো বেশী সুযোগ পেলে উন্নত মানের বীজ তিনি উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রি করতে পারবেন। সেইসাথে কৃষকদের মধ্যে নির্ধারিত মূল্যে ভাল বীজ সরবরাহ করে দেশের কৃষিতে সামান্য হলেও অবদান রাখতে পারবেন বলে জানান মোহাইমিন।
এদিকে নওহাটা পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় মসুর,সরিষা ও মাসকলাই প্রদর্শনী নিয়ে বীজ উৎপাদন করেন। এরপর সেই সকল বীজ সুন্দর প্যাকেট করে এলাকার কৃষকের মাঝে বিক্রি করছেন। বীজের মান ভালো হওয়ায় ইতোমধ্যে এলাকায় তার ও তার বীজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
আশরাফুল আরো বলেন, অত্র প্রকল্পের আওতায় মোহাইমিনকে বীজ সংরক্ষণের জন্য প্যাকেট, প্যাকেট করার মেশিন, ওজন মেশিন ও ড্রাম প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এগুলো ব্যবহারর সম্পর্কে এবং বীজ কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে তাঁকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।