নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী রোববার ঈ’দুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। আর এই ঈদে মুসলিম জনগণ তাঁদের সাধ্যমত পশু কোরবানী করবেন। এই পশুর গোস্ত ও হাড় কেটে টুকরা টুকরা করতে লাগবে কাঠের গুড়ি (খাইট্টা) ও চাকু এবং ছুড়ি। তা আবার গুড়ি অবশ্যই হতে হবে তেতুল গাছের। কোরবানীকে সামনে রেখে নগরীর শালবাগানে বেশ কয়েকজন বসেছেন এই তেতুল কাঠের গুড়ি(খাইট্টা) নিয়ে। পাশে ছুড়ি ও চাকু নিয়েও বসেছেন অন্যান্যজন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শালবাগানে গেলে বেশ কয়েকজনকে এই খাইট্টা বিক্রি করতে দেখা যায়। এর মধ্যে খাইট্টা বিক্রেতা আরিফ ও রানা বলেন, এখনো তেমনভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। মাঝে মাঝে দুই একজন ক্রেতা এসে পছন্দমত খাইট্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মূল্য জানতে চাইলে আরিফ বলেন, তিনি প্রতিটি খাইট্টা পঁচিশ টাকা দরে বিক্রি করছে। আর রানা বলেন, তিনি ঠিকাদরে ২০০-৬০০টাকা করে প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি করছেন। এতে তাদের ভাল লাভ হচ্ছে বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, তাদের দোকানে সব ধরনের খাইট্টা আছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত কিনতে পারবেন।
এদিকে ক্রেতা মখলেসুর রহমান, আরিফ হোসেন ও বাবলা বলেন, অন্যান্য বারের থেকে এবারে মূল্য একটু বেশী। তবে একটি ভালমানের খাইট্টা যত্ন করে রাখলে ৫-৭ বছর পর্যন্ত চলে যায়। এজন্য মূল্যটা ততটা গায়ে লাগেনা বলে উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে চাকু ও ছুড়ি বিক্রেতা আশরাফুল ও তারিক বলেন, ছোট চাকু ৩০টাকা এবং বড় চাকু ২৫০-৬০০টাকা, চাপাতি ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছন। এছাড়াও পাল্লু নামে আরেক ধরনের চাকু যার প্রতিটির মূল্য ৩০০টাকা করে জানান তারা। আরেক চাকু বিক্রেতা বলেন, তার নিকট ৪০- ৪০০টাকা মূল্যের চাকু, ছুড়ি ও চাপাতিসহ অন্যান্য চাকু রয়েছে। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে বলে জানান তারা। এছাড়াও সেখানে পলেথিন ও খেজুর পাতার পাটিও বিক্রি করতে দেখা যায়।