নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে দুই সন্তানের মাকে ধর্ষন করেছে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পবা থানার মধুসুদনপুর গ্রামে। ধর্ষিতা আম্বিয়া বেগম মৃত ফুলবাস এর মেয়ে এবং শাহাদত এর স্ত্রী। এই নিয়ে পবা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে ধর্ষিতা ফিরিয়ে দেয়ার আিভযোগ উঠেছে। থানায় মামলা না নেয়ার প্রতিবাদে সোমবার রাতে ভূক্তভোগি নিজেই তার পরিবারের অন্যান্য সস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আম্বিয়া উল্লেখ করেন গত ২৩ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে পাড়ার দোকানে মশার কয়েল কেনার জন্য যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে একই গ্রামের রাজ্জাকের বাড়ির সামনে পৌঁছালে রাজ্জাকের ছোট ছেলে আসাদুজ্জামান রাব্বি তাকে রাতের অন্ধকারে কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই জোরপূর্বক চেপে ধরে। এ অবস্থায় চিৎকার করতে গেলে রাব্বি তার নিকট থাকা গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে দেয় এবং বাড়ির পিছন অন্ধকারে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
এমতাবস্থায় তাঁর ফুফাতো ভাসুর মজিবুর রহমান বাড়ির পিছনে প্রসাব করতে যেয়ে ঘটনা দেখতে পেয়ে তারা স্বামী শাহাদতকে ডেকে নিয়ে আসলে উভয়ে মধ্যে চিৎকার ও চেচামেচি হয়। এক পর্যায়ে রাব্বির ছোট চাচা কাউসার এসে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাব্বিকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। সেইসাথে এ বিষয়ে কোন প্রকার বারাবারি না করার হুমকী দিচ্ছেন।
রাব্বিদের বাড়িতে কাজ করেন বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তার স্বামী কোন কিছু না বুঝেই আমাকে বাড়িতে ঠাই না দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পরে লোকমুখে জানতে পারেন তাকে তালাক দিয়েছেন। এরপর আমি আমার এক খালার বাড়িতে এখন আশ্রয় নিয়ে আছেন।
তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজনদের সাথে পবা থানায় ধর্ষনের মামলা করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। সেইসাথে এদিন না ওদিন করে কালক্ষেপন করেন। শেষ মুহুর্তেও থানা মামলা নেন নি। থানার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। এখন ধর্ষনকারী আসাদুজ্জামান রাব্বি ও তার ছোট চাচা কাউসার, বাবা রাজ্জাক মিলে এ বিষয়ে কোন কিছু না করার জন্য বলছে এবং প্রান নাশের হুমকী দিচ্ছে। তিনি এর প্রতিকার ও প্রচলিত আইনে বিচার প্রার্থনা করেন।