নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কৃষক দলের আয়োজনে বুধবার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল রাজশাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত। কৃষক দল বাগমারা উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা থানা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ডি.এম. জিয়া ও তাহেরপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র সভাপতি আ.ন.ম সামসুর রহমান মিন্টু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন তাহেরপুর পৌরসভার সাধারণ সম্পদক আলিম বাবু, বাগমারা থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, আব্দুল হামিদ বাবলূ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বড়বিহানালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মিলন, আলাল হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাপ, সদস্য সচিব মোজাফ্ফর, বাগমারা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর মাস্টার, জেলা কৃষক দলের সদস্য শামিম ও বাগমারা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্টু।
বাগামারা উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক সান্টু মোল্লার সার্বিক সহযোগিতায় মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন আতিকুর রহমান জর্জ, আলাল হোসেন, সোহেল রানা ও রেজাউল করিম রাজুসহ বিএনপি, কৃষক দল, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই নিশিরাতের সরকার বিএনপি’র আন্দোলন দেখে ভীত হয়ে পড়েছে। কিছু আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অতি উৎসাহীত হয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন করছে। আর কিছু সদস্যরা চাকরী যাওয়ার ভয়ে ঐ সকল আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। কিন্তু কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। সময়মত সকল অন্যায়কারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিন আরো বলেন, বিএনপি’র আন্দোলন রোজার মধ্যে চলমান রয়েছে। এই আন্দোলন ঈদুল ফিতরের ঈদের পরে আরো বেগমান হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ সরকার পতনের ১০দফা আন্দোলনে সবাইকে একসাথে একযোগে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।