নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জুন মাসের ২১ তারিখ আরো চারটি সিটি কর্পোরেশনের ন্যায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাসিক ৩নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই নির্বাচনে আবারও অংশগ্রহন করার জন্য রাজশাহী নির্বাচন কার্যালয় হতে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন অত্র ওয়ার্ডের বর্তমান সফল কাউন্সিলর আলহাজ¦ কামাল হোসেন। মনোনয়ন উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে যেয়ে কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে এই ওয়ার্ডে তেমন উন্নয়নমূলক কাজ না হলেও তিনি তাঁর ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট দশভাগ কাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচনে পুণরায় বিজয়ী হলে এই ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দাশপুকুর, বহরমপুর, ডিঙ্গাডোবা ও বিলশিমলাসহ অত্র ওয়ার্ডের প্রায় সকল রাস্তা, ড্রেন এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও এই ওয়ার্ডের সকল ধর্মীয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ওলি গলির সকল রাস্তা ও ড্রেন এর কাজ প্রায় শেষ। মাত্র ১০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে সকল কাজের টেন্ডার সম্পন্ন করা আছে। সেইসাথে কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। করোনা না হলে এতদিনে কোন কাজ অবশিষ্ট থাকতনা বলে জানান কাউন্সিলর।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে এই ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করছেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর ওয়ার্ডে যথেষ্ট পরিমানে বরাদ্দ দিয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দ পেয়েছেন এবং কাজ হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের সাথে তার ওয়ার্ডে নতুন করে আবারও আরো বরাদ্দ দিয়েছেন মেয়র। সমস্ত কাজ শেষ করতে পারলে এই ওয়ার্ডে আর কোন প্রকার জনদূর্ভোগ থাকবেনা বলে জানান কাউন্সিলর। এছাড়াও বিলসিমলা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে বরে জানান তিনি ।
কাউন্সিলর বলেন, তিনি শুধু রাস্তা ও ড্রেনের কাজ করছেন না। দরিদ্র অসহায়দের পাশে সর্বদা আছেন তিনি। তাদের জন্য বয়স্কভাতা ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানসহ সরকারি বরাদ্দকৃত সকল কিছুই নাগরিকদের প্রদান করে চলেছেন। স্বল্পমূল্যে টিসিবির পন্য পাওয়ার জন্য স্বচ্ছতার সাথে আড়াই হাজার পরিবারকে তিনি কার্ড প্রদান করেছেন । এছাড়াও করোনা কালীন সময়ে প্রাপ্য প্রতিটি পরিবারে খাদ্য সামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছেন। আগামীতে সরকারী সকল সুবিধা যেন জনগণের মধ্যে প্রদান ও উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রাখতে পারেন তার জন্য ওয়ার্ডবাসীর সহযোগিতা, দোয়া ও ভোট কামনা করেন কাউন্সিলর কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে অত্র এলাকার একাধিক শুধিজন বলেন, পূর্বে অনেক কাউন্সিলর চলে গেলেও অত্র ওয়ার্ডে তেমন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। বিশেষ করে দাশপুকুরের চারপাশে কোন কাউন্সিলরই কোনদিন কোন ড্রেনের কাজ করে দেন নি। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি নিস্কাশন না হতে পেরে সমস্ত রাস্তা ডুবে যেত। ড্রেন না থাকায় অনেক সময় ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতো। সেইসাথে পাকা রাস্তা না থাকায় কাদা পানির মধ্যে দিয়ে তাদের চলাচল করতে হতো বলে জানান তারা। এই সমস্যা একেবারে দুর হয়েছে। এসকল কাজের স্বীকৃতিস্বরপ তারা আবারও বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেনকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে ভোট প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে দাশপুকুর ও ব্যাংক কলোনীতে বসবাসরত অন্যান্যরা বলেন, তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দুর হয়েছে। ড্রেনতো হচ্ছেই। সেইসাথে ড্রেনের সাথে রাস্তা হওয়ায় চলাচল এখন নির্বিঘ্ন হয়েছে। এই উন্নয়ন কার্যক্রম করায় তারা কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ ভোট প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রতি দেন তারা।