নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের ২৯ তারিখ ঈ-দুল আযহার ঈদ উদযাপিত হবে। আর এই ঈদের মুল কাজ হচ্ছে পশু জবাই করা। মনের পশুকে জবাই করে আত্মশুদ্ধি করাই হচ্ছে এই ঈদের মূল বিষয়। আর এই পশু ক্রয় করতে জনগণ ছুটছে পশুর হাটে। শুক্রবার ছিলো রাজশাহীর কাটাখালীর পশুর হাট। এই হাটে সব ধরনের পশু দেখতে পাওয়া যায়। গরু বিক্রেতা চারঘাটের হলিদাগাছীর সাগর, বানেশ^রের রানা, পুঠিয়ার আব্দুল আলিমসহ আরো অনেকে বলেন, তারা নিজ বাড়িতে গরু লালন পালন করেছেন। ঈদকে সামনে রেখে তারা গরু হাটে তুলেছেন। বর্তমান বাজার ভাল। এভাবে বাজার থাকলে তারা লাভবান হবেন বলে জানান।
তারা আরো বলেন, দেশে কোরবানীর জন্য প্রচুর গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। ভারত বা অন্যকোন দেশ থেকে কোন ধরনের পশু আমদানী করার কোন প্রয়োজন নাই। এর পরেও যদি বৈধ কিংবা অবৈধ পথে গরু আসে তাহলে দেশীয় খামারী ও গেরস্থরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান তারা। এদিকে ক্রেতারা বলেন, হাটে দাম একটু বেশী। বিক্রেতারা গরু ছাগলের দাম বেশী হাকছেন। তবে ঈদের দিন ঘনিয়ে আসলে হয়তবা দাম একটু কমতে পারে। তবে দাম কম বেশী যাই হোক পছন্দ হলে তারা নিজেদের পছন্দের পশু ক্রয় করবেন জানান।
এদিকে আইন শৃংখলা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাটাখালী থানার পুলিশ সদস্য আজাদ ও রশিদ বলেন, এই হাটে কোন প্রকার বিশৃংখলা নাই। নাই টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজী। ক্রেতা বিক্রেতা নির্বিঘ্নে ক্রয় বিক্রয় করতে পারছেন বলে জানান তারা। হাট ইজাদারের প্রতিনিধি বাতেন জানান সপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও সোমবার মাসকাটাদিঘী স্কুল মাঠে হাট বসে। হাটে প্রচার পশু আসে। সেগুলো বিক্রিও হয়ে যায়। প্রতিটি গরু ও মহিষ প্রতি তারা ছাড় বাবদ নেন ৮০০ এবং ছাগল, ভেড়া বাবদ নেন ৬০০টাকা করে।