নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পবা উপজেলার ফেত্তাপাড়ার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে সাহাবুলকে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে গলা কেটে নিঃসংশ ভাবে হত্যা করে পবার কৈকুড়ি হতে শীতলাই গামী পাকা রাস্তার পাশের জমিতে ফেলে রাখে। এ নিয়ে পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে সাহাবুলের মা বাদি হয়ে পবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে আসামীরা হলেন, সোহেল(২০), রুবেল(৩০), লাভলু(২৫) ও বাবলু, সবার পিতা রাব্বুল, রাব্বুল, পিতা অজ্ঞাত ও সামসুলের ছেলে টাইগার। সবার মহল্লাহ রাজপাড়া থানাধীন চামারপাড়া এলাকার। সেইসাথে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
সাহাবুলের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, পবা থানার মামলার অগ্রগতি না হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা প্রশাসক বরাবরে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করলে জেলা প্রশাসক সিআইডিকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন। সিআইডি প্রথম আসামী সোহেলকে বাদ দিয়ে চার্জসিট প্রদান করেন। ঐ চার্জসিটের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ নারাজি দিলে কোর্ট পিবিআইকে তদন্তের ভার দেন। দীর্ঘ চার বছর ধরে তদন্ত করে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রথম আসামী সোহেলসহ গত বছরের ২৮ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেন। মামলার সময় আসামী ৬ জন থাকলেও পিবিআই আরো ৫জনকে জড়িয়ে মোট ১১জনকে আসামী করে চার্জসিট জমা দেন।
সাহাবুলের মা মালেকা বেগম বলেন, ছেলে হারানোর সাত বছরেও তিনি ছেলে হত্যার বিচার পাননি। বিচারের জন্য শুধুই অপেক্ষা করছেন। তার এই অপেক্ষা আর কতদিন করতে হবে বলে প্রশ্ন করেন। তার ছেলে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে নিয়ে হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার অনুরোধ করেন মা মালেকা বেগম।
এদিকে নিহত সাহাবুলের ছেলে সিয়াম(১৫) ও মেয়ে লামিয়া খাতুন(১০) বলেন, যখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়, তখন তারা অনেক ছোট। ছোট বেলায় মানুষের ছেলেরা যখন বাবা বলে ডাকে, তখন তারা দুই ভাই-বোন শুধু বাবার পথের দিকে চেয়ে থাকে। এই বুঝি বাবা এসে তাদের দুই ভাই-বোনকে জড়িয়ে ধরবে এবং কোলে তুলে নেবে। সাহাবুলের মেয়ে লামিয়া বলেন, তার বাবাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার বয়স মাত্র ছিলো মাত্র তিন বছর। বাবার মুখটা এখন আর তেমন মনে পড়েনা। এখন তাদের দুই ভাই-বোনের একটাই চাওয়া দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার করে যেন ফাঁসি প্রদান হয়।