নিজস্ব প্রতিবেদক: উঠতে উঠতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠল রাজশাহীর তাপমাত্রা। এটি রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে বৃষ্টির কোনো সুখবর দিতে পারছে না রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক গাওসুজ্জামান বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনাও নেই। তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন রাজশাহীর এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এ অবস্থায় এই তাপদাহে সকল ধরনের পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ ও অন্যান্য মাকলুকাত অনেক কষ্ট পাচ্ছে। এর মধ্যে থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া ও পথচারী মানুষগুলো। এই মানুষগুলো এই অগ্নিঝড়া দিনে রাস্তায় কাজ করছে। রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সা ও ছোটবড় যানবাহন চালকরা কষ্ট পাচ্ছে বেশী। এই তীব্র গরমে ঐ সকল মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে নর্থ বেঙ্গল কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল সোসাইটি রাজশাহী মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।
অত্র সোসাইটির রাজশাহী মহানগর শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর মহানগরীর গোরহাঙ্গা মোড়, অলকার মোড়, সিএন্ডবি মোড়, কোর্ট স্টেশন মোড় ও কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে ঐ সকল খেটে খাওয়া মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে বোতল পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি গোলাম সারওয়ার স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সচিব ফারুক হোসেন এবং বিভাগ ও মহানগর কমিটির অর্থ সচিব আলমগীর হোসেন।
এছাড়াও মতিহার থানা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান, সচিব বদিউজ্জামান বাদল, শাহ্ মখ্দুম থানার সভাপতি শেখ সাদি মোহাম্মদ আলী, কাশিয়াডাঙ্গা কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম সবুজ, চন্দ্রিমা থানার সচিব ইয়াসমিন আরা ও শিক্ষক শরিফা খাতুনসহ মহানগর শাখা কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সকল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরনের পূর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোলাম সারওয়ার স্বপন বলেন, দিন যতই যাচ্ছে রাজশাহী আরো উপ্তপ্ত হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষসহ সকল শ্রেণির মানুষগুলোর অতি গরমে ও তৃষ্ঠায় প্রাণ যাই যাই অবস্থা হয়ে গেছে। এ অবস্থার তাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। সোমবার থেকে চলছে তাদের এই কার্যক্রম। চলবে তীব্র গরম থাকা পর্যন্ত। মঙ্গলবার তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে সাড়ে তিন হাজার পানির বোগল ও স্যালাইন বিতরণ করেছেন বলে উল্লেখ করে তিনি। তাদের মত সমাজের ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বপন।