নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশের তাপমাত্রা। সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতেও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। এখন সেই তাপমাত্রা উঠতে উঠতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠল রাজশাহীতে। এটি রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তথ্যমতে ২০০৫সালে এই অগ্নিমুর্তি ধারন করেছিলো প্রকৃতি। সেই ধরনের অগ্নিমুর্তি ধারন করেছে মঙ্গলবার। বেলা ৩টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টা পর্য়ন্ত বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১৮%। বিয়য়টি নিশ্চিৎ করেন রাজশাহী আবহাওয়ার অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম।
এদিকে বৃষ্টির কোনো সুখবর দিতে পারছে না রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষকগণ। ভারী বর্ষণ ছাড়া এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনাও নেই। তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন রাজশাহীর এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এ অবস্থায় এই তাপদাহে সকল ধরনের পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ ও অন্যান্য মাকলুকাত অনেক কষ্ট পাচ্ছে। এর মধ্যে থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া ও পথচারী মানুষগুলো। এই মানুষগুলো এই অগ্নিঝড়া দিনে রাস্তায় কাজ করছে। রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সা ও ছোটবড় যানবাহন চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো অনেক কষ্ট পাচ্ছে। দিন যতোই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। সোমবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়াও তাপদাহের কারণে আম-লিচুর গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত শতশত শিশু, বৃদ্ধ ও অন্যান্য রোগীর চাপ। তীব্র গরমের মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষ ও পথচারীদের একটু স্বস্তি দিতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়েও খাবার স্যালাইন, পানির বোতল, বিস্কুট, ঠান্ডা লেবু পানি বিতরণ করছে। এতে করে ঐ সকল জনগণের মধ্যে সামান্য হলেও পানির তৃষ্ণা মিটছে।
রিক্সা চালক আব্দুর রহমান, আওয়াল, বশির, আকন্দ ও রবিউল আলমসহ অন্যান্য পথচারীরা বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিদিন খাবার পানি, স্যালাইন ও লেবু পানি প্রদান করায় তারা এই তীব্র গরম থেকে সামান্য হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন। যতদিন পর্যন্ত আবহাওয়া এরকম থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই ধরনের সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তারা। শুধু এই কার্যক্রম নয় রহমতের বৃষ্টির জন্য রাজশাহীসহ দেশের প্রায় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইস্তিস্কতার নামাজ আদায় করছে।