নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা বিশে^ এক সাথে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিবস মহান মে দিবস পালিত হয়। এই দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে কর্মঘন্টা কমানো এবং ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য ১৮৮৬সালে আন্দোলন শুরু করলে আইন শৃংখলাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শ্রমিকদের হত্যা করে। নির্যাতন ও হত্যা করেও সে সময়ে এই আন্দোলন থামাতে না পেরে শ্রমিকদের দাবী মেনে নিতে সরকার বাধ্য হয়। সেই থেকে এই দিনটিকে শ্রমিকরা যথাযথভাবে পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) আয়োজনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সপুরাস্থ্য নির্মাণ শ্রমিক কার্যালয়ে সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকগণ র্যালি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড়ে এসে শেষ করেন। সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইনসাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি নবাব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনসাব রাজশাহী জেলা শাখার কার্যকরি সভাপতি আজিজুল হক বাঙ্গালী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন রেজা জেনু।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইনসাব জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নাসির, কাজেম আলী, সাহেব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনসহ অত্র কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং ইনসাব সকল ইউনিটের নির্মাণ শ্রমিকগণ।
সমাবেশে সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা ১২দফা দাবী নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে। এই সকল দাবীর মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ শহরের সকল থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় নির্মাণ কলোনী স্থাপন, সুলভ মূল্যে লীজ প্রদান, কলোনীতে স্কুল ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন, শ্রম ছাউনী নির্মাণ, নারী নির্মাণ শ্রমিকদের সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিত করণ, নূন্যতম মজুরী সন্তোষজকভাবে বৃদ্ধি, সার্ভিস চার্জ দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ, রেশনিং ব্যবস্থা ও পেনশন স্কীম চালু ও পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করাসহ এই বার দফা দাবী তুলে ধরেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন, ভবন নির্মাণ করতে যেয়ে শ্রমিকরা মৃত্যুবরণ করলে সরকারী নিয়মে নয় বেশী করে মালিকদের টাকা প্রদান করতে হবে। সেইসাথে সরকারীভাবে কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত চাল, চাল, আটা, তেল ও চিনিসহ নিত্যপন্য প্রদান করার দাবী জানান তারা। এছাড়াও সরকার ঘোষিত শ্রমিকদের মজুরী বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন বক্তারা।