বিশেষ প্রতিনিধি:
আগামী ১৭ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট করছি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু হামলা ও হুমকির মধ্য দিয়েই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি। সম্প্রতি আমার পোষ্টার ও ফেস্টুন নির্বাচনী এলাকা থেকে ছিড়ে ফেলার অভিযোগ আসছে। এ্রই মধ্যে গত বুৃধবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মোহনরপুর উপজেলার ধুরোইল ইউনিয়নে আমার পোষ্টার লাগাতে বাধা দেওয়া ও কর্মীদের আটকে রেখে মারধরের খবর আসে।
খবর পেয়ে, আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাড. আবু রায়হান মাসুদসহ বেশ কিছু কর্মী সেখানে দুটি গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়। রাত্রি ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা সেখানে উপস্থিত হলে রাজশাহীর পবা-মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের নির্দেশে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা হয়। এসময় তারা আমাদের দুইটি গাড়ি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলে। এর কিছুক্ষন পরপরই সেখানে এমপি উপস্থিত হয়ে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ঘটনা ঘটার অন্তত ১০ মিনিট পরই পবা-মোহনপুর সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন তার নেতাকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আমার লোকজনদের মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় এমপি নিজেই আমার নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন মোহনপুর থানা পুলিশের ওসি মোহা. তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সরা। ঘটনাস্থল থেকে ৭জনকে উদ্ধার করে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসেন।
মারধরের ঘটানয় আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারীসহ আরও সমর্থকরা হলেন, বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন(৩৫), রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট(৩০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু(৪৫), মৃত এ্যাড.মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে এ্যাড.গোলাম আযম ফারুক(৫৩), মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন(৩০), লক্ষীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আলী (৫৩) ও রাজশাহী হড়গ্রাম এলাকার মন্টুর ছেলে রাফি (৩৫)।
জে.সি/সুপ্রভাত রাজশাহী