সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন

রাজশাহী বার সমিতির নির্বাচনে কে কত ভোট পেয়েছেন

  • প্রকাশ সময় শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪
  • ৩১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী এডভোকেট বার এসোসিয়েশন নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পন্থি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদকে হারিয়েছে বলে বিএনপি পন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের দাবী। তাঁরা বলছেন প্যানেলের ২১টি পদের মধ্যে মোট ১৯টি আসন পেয়েছেন তাঁরা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপি পন্থি আইনজীবীগণ এবং এজেন্টদের লিখিত তথ্য মতে তারা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। এই প্যানেলে মাত্র এক ভোটে এডভোকেট আলহাজ্ব আবুল কাসেম(০১) সভাপতি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদন্দি আওয়ামী লীগ পন্থি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন পেয়েছেন ৩১৪ ভোট।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি এডভোকেট মজিবুল হক পেয়েছেন ৩৫৬, এডভোকেট জানে আলম পেয়েছেন ৩০৪ ও সানোয়ার কবির খান ইসা পেয়েছেন ৩১৪ ভোট। সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে সহ-সভাপতি পদে রেজাউল করিম পেয়েছে ২৫৬ভোট, এডভোকেট আখতারুল আলম বাবু পেয়েছেন ২৬১ ও এডভোকেট কে.এম ইলিয়াস পেয়েছেন ২৬৯। এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জমসেদ আলী পেয়েছেন ৩১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদন্দি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান খান রানা পেয়েছে ২৩৬ ভোট।

এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ( সাধারণ) পদে এডভোকেট মালেক রানা পেয়েছেন ৩২৮ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদন্দি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) এডভোকেট মিজানুর রহমান বাদশা পেয়েছে ২৯৫ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদক (কল্যাণ) এডভোকেট ইমতিয়ার মাসরুর আল আমিন পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। অপর দিকে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের একই পদে এডভোকেট আহসান হাবিব রঞ্জু পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক হিসাব পদে এডভোকেট আদিব ইমাম ডালিম পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট। একই পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এডভোকেট তৌফিকুর রহমান পেয়েছেন২৬৬ ভোট।

এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে লাইব্রেরী সম্পাদক পদে সেলিম রেজা মাসুম পেয়েছেন ৩২৮ ভোট। অন্যদিকে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এডভোকেট রকিবুল হাসান রোকন পেয়েছেন ২৯৪ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে অডিট সম্পাদক পদে এডভোকেট এস.মাহবুব জুবেরী রাজু পেয়েছে ৩১৭ ভোট। আর সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে এডভোকেট নাজমুস সাহিদ হোসেন সোহেল পেয়েছেন ২৯২ ভোট। সম্পাদক প্রেস এন্ড ইনফরমেশন পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল এডভোকেট শাহজাহান আলী ফাহিম পেয়েছে ৩৩৯ ভোট। অন্যদিকে একই পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে এডভোকেট সুমা খাতুন পেয়েছেন ২৭৯ ভোট।

এদিকে সম্পাদক ম্যাগাজিন এন্ড কালচার পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে এডভোকেট এস.এম জ্যোতিউল ইসলাম সাফী পেয়েছেন ৩১৫ ভোট। অপর দিকে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে একই পদে এডভোকেট এস.এম ফয়সাল আহসান পেয়েছেন ২৯৯ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে সদস্য পদে এডভোকেট ইয়াছিন আলী পেয়েছেন ৩৪০ ভোট, এডভোকেট ফাইসাল আলম নয়ন পেয়েছেন ৩২২ভোট, এডভোকেট অলিউল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩৮ ভোট, এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস রুপু পেয়েছেন ৩১৯ ভোট, এডভোকেট জাকির হোসেন(২) পেয়েছেন ৩১২ ভোট, এডভোকেট হুমায়ন কবীর শাম্মী পেয়েছেন ৩২১ ভোট ও নাবিলা রেজভী বিজয়ী পেয়েছেন ৩২২ ভোট। এদিকে একই প্যানেল হতে সদস্য পদে হরেছেন এডভোকেট গোলাম হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩০৮ ভোট এবং এডভোকেট শহিদুল ইসলাম ২৫৮ ভোট পেয়ে হেরেছেন।

সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে সদস্য পদে এডভোকেট সাহাবুর রহমান ৩৩১ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং এডভোকেট সাদেক মিয়া ৩২৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। এই প্যানেল থেকে এই দুইজনমাত্র সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে এজেন্টেদের ফলাফল সিট এর তথ্য থেকে পাওয়া গেছে। এই প্যানেলের অনান্য সদস্যরা ভোট পেয়েছেন এডভোকেট বিশ^জিৎ বিশ^াস শোভন ২৫৮ , এডভোকেট সুনির্মল সরকার পান্না ৩০৮, এডভোকেট শরিফুল ইসলাম ২৮৬ , এডভোকেট ইসরাত জাহান ২৬ , এডভোকেট তোজাম্মেল হোসেন তোবারক ২৮০, এডভোকেট মতিউর রহমান মিলন ২৬৪ ও শারমিন আক্তার রিক্তা ২৬৪।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র আই৫ নজীবী আলহাজ¦ আবুল কাসেম বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক ছিলো। ফলাফল ঘোষনার জন্য যখন চুড়ান্ত সিট তৈরী করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন তখই বিপত্তি বাধে। প্রতিদন্দি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী তাঁর সাথে হেরে গেলে আওয়ামী পন্থি আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করে। তারা রীতিমত মারমুখি হয়ে যায় এবং ব্যালট বাক্স ভাঙ্গচুর করে। শুধু তাই নয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। সেইসাথে নির্বাচন বাতিল করা এবং তাঁকে পদত্যাগ করার কথা বলে। এতে নির্বাচন কমিশনার উপায় না দেখে পদত্যাগ করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, সভাপতি পদের ফলাফল স্থগিত রেখে অন্যান্যদের ফলাফল দেয়ার কথা বললেও আওয়ামী পন্থি আইনজীবীরা তা না মেনে গন্ডোগোল করতেই থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ আসলেও তারা নিস্কৃয় ভূমিকা পালন করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট ইব্রাহিম বলেন, ‘এটা তাঁদের বার সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এসব নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক না।’ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সংবাদ সম্মেলন করে কী অভিযোগ তুলেছেন, সেটাও জানি না। আগে দেখি, তারপর কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ফল ঘোষণার আগমূহুর্তে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরাই হট্টগোল করেছেন। তারা অযৌক্তিকভাবে ভোট পুনর্গননার দাবি জানান। তা না করার কারণে তারা ব্যালট বক্স ভেঙে দেন। তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন। তিনি পদত্যাগ করে ব্যালট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখায় দিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন। তিনি এখন আর এসবের মধ্যে নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin