নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক তার ও টেলিযোগমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক এর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল সবার মায়া ত্যাগ করে দুনিয়া ছেড়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তিনি ১৯৪৩ সালে গোদাগাড়ীর একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন। সাবেক এই মন্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনায় গোদাগাড়ী বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত করা হবে বলে দল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ষাটের দশকে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় তাঁর। তিনি ভাসানী ন্যাপের অনুসারী ছিলেন। ১৯৬৯ এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের কারণে আমিনুল হকের বিরুদ্ধে নয়টি মামলা হয়েছিল। পাক সরকারের হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি দেশ ত্যাগ করে লন্ডনে ‘ব্যারিস্টার’ পড়ার জন্য চলে যান। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে অনশনে অংশ নেন।
১৯৭৭ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাগদল গঠন করলে তিনি জাগদলে এবং জাগদল বিলুপ্ত হয়ে বিএনপি গঠিত হলে তিনি তখন বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক প্রথমবার গোদাগাড়ী-তানোর আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন এবং বিজয়ী হন। সেই থেকে তিনি চারবার এমপি ও দুই বার মন্ত্রী হন। এ সময়ে গোদাগাড়ী ও তানোরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেন। এছাড়াও তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার দলীয় নেতাকর্মী অন্যান্য আসামীদের পক্ষে আইনী লড়াই লড়ে গেছেন।