নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যান্য ফসলের ন্যায় আম রাজশাহী অঞ্চলের অন্যতম একটি অর্থকরী ফসল বা ফল। প্রতিবছর বাংলাদেশের সকল প্রান্তের মানুষ রাজশাহী আম খেয়ে থাকেন। তারা বলেন, রাজশাহীর আম কেমিক্যাল মুক্ত এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। প্রতি বছরে রাজশাহীর আম দেশের চাহিদা পুরণ করে। শুধু তাইনয় রাজশাহী আম বিদেশের রপ্তানী হয়। এবারে রাজশাহীর বেশীরভাগ আম বাগানে আম আসেনি। বাগান মালিকগণ বলেন, এবার তাদের বাগান অনেকটাই খালি। যতটুকু গাছে আম তা আবার প্রচণ্ড গরমে ঝড়ে পরছে। প্রচন্ড রোদে আমের বোটা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে আম ঝড়ে পড়ছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা আরো জানা যায় এবারে যে ভাবে গরম পড়েছে, এভাবে চলতে থাকলে আম ঝড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী কৃষি অধিপ্তরের সূত্র ধরে জানা যায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজশাহীতে ১৯৬০২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আর সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৬০১৬৪ মেট্রিক টন। তবে এবারে রাজশাহী অঞ্চলে বাগানের গাছে আম এসেছে অনেকটাই কম। এবারে ৮৪ভাগ আম এসেছে বলে জানা গেছে। আম ঝড়া রোধ করতে আম গাছের গোড়াতে পানি ও আম গাছে সাদা পানি দেয়ার পরামর্শ দেন পবা উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন দেওয়ান।
অফিস সূত্রে আরো জানা যায় ২০২-২২ সালে অর্থ বছরের রাজশাহীতে আম চাষ হয়েছিলো ১৮৫১৫ হেক্টর জমিতে এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছওে ১৯৫৭৮.০৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিলো। সে হিসাব করলে গত বছরের থেকে সামান্য আমের চাষ বেড়েছে বলে জানা গেছে। রাজশাহীতে গোপালভোগ, লক্ষণভোগ বা লখনা, রানি পছন্দ, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, আমরুপালি আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি আম, ইলামতি আম, কাটিমন ও বারি আম-১১সহ নানা ধরনের গুটি আমের চাষ হয়েছে।
এদিকে আম ব্যাবসায়ী জয়নাল আবেদিন, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সাত্তার ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারে তাদের বাগানের আম গাছে আম অনেক কম এসেছে। তবে যতটুকু আম আছে সেগুলোও যদি শেষ পর্যন্ত থাকে তাহলে অনেক বড় বড় আম হবে। এতে করে অনেক পুশিয়ে যাবে। বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে, তা যদি আর কয়েকদিন থাকে তাহলে আম আরো বেশী করে ঝড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করেন তারা। তারা আরো বলেন, যে সকল ব্যবসায়ীরা আমের পাতা ক্রয় করেছিলেন তাদের মাথায় একেবারেই হাত পড়ে গেছে। অনেক বড় ধরনের লোকসানে তারা পরে গেছেন বলে জানান।