সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিএনপি জনগণের আস্থা ও বিশ^াস ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছে: তারেক

  • প্রকাশ সময় বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মানুষ এখন মারাত্মক সংকট সময় পার করছে। মানুষের মধ্যে অনেক কষ্ট বেড়েছে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীন দেশে মানুষের এখন কথা বলার, ভোটের, ধর্মীয় এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের কোন অধিকার নাই। মানুষ এখন আস্থা সংকটে পড়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সেই আস্থা ও বিশ^াস ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছে বলে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে কারানির্যাতিত ও সকল নেতাকর্মীদের সম্মাননা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কথাগুলো বলেন।

অনেক আশা এবং প্রত্যাশা নিয়ে এদেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর হলেও এ দেশের জনগণ অধিকার পায়নি। তার বড় প্রমান ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এক তরফা নির্বাচন করে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। চলতি বছরের গত ৭ জানুয়ারী ঐতিহাসিক ডামি নির্বাচন করে তারা আবারও ক্ষমতায় বসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতীর সাথে প্রহসন করেছে। কারন এসব নির্বাচন কোনভাবেই দেশে এবং বিদেশে গ্রহনযোগ্য হয়নি। হয়েছে শুধু পার্শবর্তী তাদের সহযোগি দেশ ভারতের।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, এই ডামি ও প্রসহনের নির্বাচনে যেন জনগণ অংশগ্রহন বা ভোট প্রদান না করেন সেজন্য বিএনপিসহ দেশের প্রায় ৬২টি দল ভোট বর্জনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ৮০ভাগ জনগণ এই নব্য স্বৈরাচার সরকারকে প্রত্যাক্ষাণ করেছে। তারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাননি। তিনি বলেন, এই ডামি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। প্রতি হলে সিট বাণিজ্য করছে। ছাত্রীদের নানাভাবে বিরক্ত ও উপ্তপ্ত করছে। এই ছাত্রলীগের ভয়ে ছাত্রীরা এখন বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। সেইসাথে তারা উৎকণ্ঠার মধ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এর অবসান ঘটাতে হবে। না হলে দ্রুত বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কারন দেশের বিচার ব্যবস্থা নগ্ন দলীয়করণ হয়ে পড়েছে। ফলে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। দলীয় ক্যাডার দেখে বিচারক নিয়োগ প্রদান করায় এবং নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে এই বিনা ভোটের সরকার এমনটা করেছে। শুধু তাইনয় দেশ রক্ষা ও জনগণের সেবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যারা চাকরীতে যোগদান করলেও তারা এখন টাকার নিকট বিক্রি হয়ে দলীয় ক্যাডারে পরিণত হয়েছে।

তারা কারনে অকারনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক নির্যাতন করছে। সেইসাথে জেল হাজতে পাঠাচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেয়া যাবেনা। তিনি এই ডামি সরকারকে বিতারিত করে দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শেষে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।

ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডাভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ^নাথ সরকার, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদিন শিবলী, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম মোস্তফা মামুন, বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।

এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু, রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি, সাধারণ সম্পাদক রফিকউদ্দিন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশান আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin